লাইফস্টাইল ডেস্ক : এয়ার কন্ডিশনার বা এসি আমাদের আধুনিক জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে। এই গরমে অনেকেই নতুন এসি কেনার কথা ভাবছেন। কিন্তু জানেন কি, কোন ধরনের এসি আপনার ঘরের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত? আর কোন এসি মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল বাড়িয়ে দেবে না?
Table of Contents
অনেকেই এসি কেনার পর চিন্তায় পড়েন—বিদ্যুৎ বিল কীভাবে কমানো যায়। এই সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে ইনভার্টার এসি। কারণ ইনভার্টার এসি শুধু আরামদায়ক ঠান্ডা নয়, বিদ্যুৎ খরচও কমায়। তবে শুধু এসির ধরন নয়, সঠিকভাবে এসি ব্যবহারের মাধ্যমেও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব।
ইনভার্টার এসি বনাম নন-ইনভার্টার এসি
ইনভার্টার এসি এবং নন-ইনভার্টার এসির মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। বিশেষ করে ইনভার্টার এসির কম্প্রেসর মোটর তার গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। একবার ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে, এই প্রযুক্তির এসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোটরের গতি কমিয়ে দেয়, ফলে বিদ্যুৎ খরচও কম হয়। এতে ঘরের তাপমাত্রা দীর্ঘক্ষণ বজায় থাকে এবং কম্প্রেসর বারবার চালু-বন্ধ করতে হয় না।
এসির মোডগুলো এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়
প্রতিটি এসি-তেই সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট মোড থাকে। যেমন:
- কুল মোড
- ড্রাই মোড
- স্লিপ মোড
- হিট মোড
- অটো মোড
এসির এই মোডগুলো আলাদা আলাদা পরিবেশ ও আবহাওয়ার জন্য নির্ধারিত। আপনি যদি এসব মোড সঠিকভাবে ব্যবহার করেন, তাহলে এসির আয়ু বাড়ানোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিলও সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
বিদ্যুৎ বিল কমাতে ‘অটো মোড’ সবচেয়ে কার্যকর
আপনি যদি এসির মাসিক বিল নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন, তাহলে আজ থেকেই ‘অটো মোড’ ব্যবহার শুরু করুন। এই মোডটি চালু করলে এসি নিজেই ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী ফ্যান স্পিড, কম্প্রেসরের কার্যকারিতা এবং কুলিং অ্যাডজাস্ট করে নেয়।
অটো মোড চালু করার সঙ্গে সঙ্গে এসির ড্রাই, কুল ও হিট মোড স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রয়োজন অনুযায়ী সক্রিয় হয়ে যায়। ফলে আপনি আলাদা করে কিছু না করেও সর্বোচ্চ কুলিং এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় পেতে পারেন।
‘ডায়েট মোড’ দিয়েও মিলতে পারে ৮১% বিদ্যুৎ সাশ্রয়
অনেক এসিতে ‘ডায়েট মোড’ নামে একটি বিশেষ মোড থাকে, যা ব্যবহার করলে গ্রাহক প্রায় ৮১ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারেন। এতে ঘর যেমন ঠান্ডা থাকে, তেমনি বিদ্যুৎ বিলও অনেকটা কমে যায়।
সোজা কথায়—ঘর থাকবে ঠান্ডা, আর মাস শেষে আসবে হালকা বিদ্যুৎ বিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।