গরমে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি এখন বলা যায় ঘরের একেবারে জরুরি একটি ইলেকট্রনিক পণ্য। গরমে স্বস্তি পেতে এসি ব্যবহার করেন বাড়িতে, অফিসে। বর্ষায় ঘরের আদ্রতা ঠিক রেখে স্বস্তির পরিবেশ পেতেও এসি ব্যবহার করেন।
এদিকে খরচ বাঁচালেও মাস শেষে এসি ব্যবহারে বিদ্যুৎ খরচ কমানো মুশকিল হয়ে পড়ে। গরমের দিনে এসি চালানোর পর যে বিদ্যুৎ বিল আসে, তা দেখে অনেকেই ঘাবড়ে যান। কিন্তু জানেন কি, আপনার এসির রিমোটেই লুকিয়ে আছে বিদ্যুৎ খরচ কমানোর উপায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে বিদ্যুৎ খরচ কমাতে পারবেন-
এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি থেকে ২৬ ডিগ্রির মধ্যে রাখা উচিত। তাহলে ঘর ঠান্ডা থাকবে। বিদ্যুৎ বিলও কম আসবে। ভাবতে পারেন, ২৬ ডিগ্রিতে কী ঘর তেমন ঠান্ডা হবে? এজন্য এসির সঙ্গে পাখা চালাতেও বলা হয়। ঠান্ডা বাতাস পুরো ঘরে সঠিকভাবে ছড়িয়ে পড়বে। এসির উপরও অতিরিক্ত চাপ পড়বে না।
নিয়মিত এসি পরিষ্কারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতি ১০ থেকে ১৫ দিন অন্তর এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে। ধুলা জমলে এসির কুলিং ক্ষমতা কমে যায়। ফলে বেশি সময় চালাতে হয়। বিদ্যুৎ বিলও বেশি আসে। তাই এসির ফিল্টার পরিষ্কার করা জরুরি।
প্রায় প্রতিটি এসিতে ইকো মোড থাকে। এই ইকো মোডে এসি চালালে বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই কমে যাবে। এই ইকো মোড অন করার সুইচ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। জানলেও খেয়াল করেন না বা এর ব্যবহার জানেন না। এই সুইচ কিন্তু মুশকিল আসান হতে পারে।
এসির সঙ্গে পাখা চালাতে পারেন কিছুক্ষণ। তার পর ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে বন্ধ করে দিতে পারেন। আপনার ঘরে যদি সরাসরি সূর্যালোক না পড়ে, তা হলে ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়ে যাবে। আর এসির কাজও কমবে।
ঘরে সরাসরি সূর্যের আলো পড়লে এসির কাজ বাড়ে। যেমন আপনার যদি একতলা বাড়ি হয়, তা হলে ঘর ঠান্ডা হতে সময় কিছুটা বেশি লাগবে। এক্ষেত্রে আপনি কিছুক্ষণ এসি ২২ বা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে চালাতে পারেন। তার পর ঘর কিছুটা ঠান্ডা হয়ে গেলে ২৪ বা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেট করতে পারেন। তাতেও ইলেকট্রিক বিল কিছুটা সাশ্রয় করতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।