লাইফস্টাইল ডেস্ক : গরমকালে ঘাম হওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার৷ ব্যক্তি বিশেষে ঘাম হওয়ার পরিমাণ আলাদা হয়ে থাকে। কেউ কম ঘামেন, আবার কারও অতিরিক্ত ঘাম হয়। এমনকি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসেও অনেকের হাত-পা ঘেমে যায়। কিন্তু এটা নিয়ে তেমন মাথা ঘামান না অধিকাংশই।
শরীরের অতিরিক্ত পানি ও খনিজ পদার্থ ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। এই ঘামের প্রধান কাজ হল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা। শরীর ঠাণ্ডা রাখতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ঘাম। এছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ পিত্তাশয়ে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমানো এবং ত্বকের জেল্লা বাড়াতে ঘাম সত্যিই প্রয়োজনীয়। তবে যাদের ঘাম খুব বেশি হয় না, তাদের যদি হঠাৎই ঘাম হতে শুরু করে তাহলে কিন্তু চিন্তার বিষয় বটে।
১) অতিরিক্ত ঘামের পেছনে কারণ হতে পারে শরীরের ভিতরে থাকা কোনও দুর্বলতা। তাই ক্লান্ত শরীরে ঘাম বেশি হলে সতর্ক হওয়া জরুরি।
২) ঘামের পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকে। যেমন থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে কিন্তু অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। থাইরয়েডের মাত্রা বাড়লেও ঘাম হয়ে থাকে। এছাড়া অতিরিক্ত ঘাম হৃদ্রোগেরও ইঙ্গিত হতে পারে।
৩) উদ্বেগের সমস্যা থাকলেও অনেকের অতিরিক্ত ঘাম দেখা দেয়। তাছাড়া সাধারণ কোনও কাজের সময়েও অনেকের হাত-পা ঘামতে থাকে। এমনকি মাথাও ভিজে যায়।
৪) ক্যানসার রোগীদের ক্ষেত্রে ঘাম হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। ফলে অতিরিক্ত ঘাম ভিতরের অবস্থা বোঝাতে সাহায্য করে।
৫) এছাড়া ঘামের সমস্যা হতে পারে হৃদ্রোগের ক্ষেত্রেও। তাই ঘাম বেশি হলে প্রথম থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।