লাইফস্টাইল ডেস্ক : বসন্ত প্রায় শেষের দিকে। গ্রীষ্মকাল আগমনের আর বেশ কিছুদিন বাকি। কিন্তু তার আগেই অনুভূতি হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া। এখন থেকেই বাইরে বেরোনোর অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে চড়া রোদ। ঘরের ভিতরে ফ্যান ছাড়া থাকা যাচ্ছে না। ফলেই এখনকার এই আবহাওয়া বুঝিয়ে দিচ্ছে আগামী দিনে কি পরিমাণ তাপমাত্রা বাড়বে। যার জন্য অনেকেই গরম থেকে রেহাই পেতে এসি চালান বা এসির সাথে ফ্যানও চালান। সেই নিয়েও আবার অনেকের নানা মত রয়েছে।
কেউ কেউ মনে করেন এসির সাথে ফ্যান চালালে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয়। আবার কারো মতে, এসি-ফ্যান একসাথে চালালে ঘর ঠান্ডা হতে দীর্ঘ সময় লাগে। ফ্যান উপর থেকে গরম বাতাসকে টেনে আনে। যার ফলে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয় না। আবার অপরদিকে কারো কারো চিন্তা ভাবনা থাকে এসি-ফ্যান একসাথে চালালে ঘরের ঠান্ডা বাতাস বেরিয়ে যায়। সত্যিই কি তাই? এই ধারণায় ভবিষ্যতের বিপদ ডেকে আনছেন না তো? তাই সময় থাকতে জেনে নিন এসির সাথে ফ্যান চালানো সুবিধাজনক নাকি অন্য কিছু।
এসির সাথে ফ্যান চালানো নিয়ে মানুষের যে ধারণাগুলো তৈরি হয় তা আসলে পুরোটাই ভ্রান্ত ধারণা। এরকম কোনো কিছুই হয় না। বিপরীতে বরং এসির সাথে ফ্যান চালালে বাতাসের প্রবাহ বৃদ্ধি হয়। যার ফলে ঘর ঠান্ডা হয় এবং ব্যক্তি আরাম পায়। পাশাপাশি এসি-ফ্যান একসাথে চালালে এসি কেও খুব একটা কাজ করতে হয় না। ঘরের চারিদিকেই ফ্যানের হাওয়া শীতল বাতাস ছড়িয়ে দেয়।
তবে এক্ষেত্রে এসির তাপমাত্রা মাঝামাঝি রাখতে হবে। প্রায় ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রির মধ্যে। তার পাশাপাশি ফ্যানের স্পিডও কমাতে হবে। তবেই ঘর দ্রুত ঠান্ডা হবে। অবশ্যই ঘরের জানালা দরজা বন্ধ রাখতে হবে। তা না হলে এসি-ফ্যানের হাওয়া কোনোটাই কার্যকরী হবে না।
শুধু ঘর ঠান্ডা নয়, এসি-ফ্যান একসাথে চালালে বিদ্যুৎ খরচ বাঁচে। যেখানে শুধুমাত্র ৬ ঘন্টা এসি চালালে বিদ্যুৎ খরচ হয় ১২ ইউনিট। সেখানে এসির সাথে যদি ফ্যান চালানো হয় এক্ষেত্রে ৬ ঘন্টায় বিদ্যুৎ খরচ ৬ ইউনিট বাঁচে। ফলস্বরূপ এসি-ফ্যান একসাথে চালালে অনেকটাই বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। পাশাপাশি শরীরে ঘাম দিলে ফ্যানের সামনে দাঁড়ালে ফ্যানের হাওয়া গরম বাতাসকে চারপাশ থেকে সরিয়ে দেয় এবং ঠান্ডা অনুভুতি দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।