Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home যেভাবে উপহার নেওয়া নাজায়েজ
ইসলাম ধর্ম

যেভাবে উপহার নেওয়া নাজায়েজ

Saiful IslamJuly 22, 20234 Mins Read
Advertisement

ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা : কোনো ধরনের শর্ত ও স্বার্থ ছাড়া কারও প্রতি অনুরাগী হয়ে কোনো কিছু দেওয়ার নাম উপহার। এটি দাতা ও গ্রহীতা উভয়কে সম্মানিত করে। এটি অতি উচ্চমাত্রার সদকা বা অনুদান। উপহার বিনিময় সামাজিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। এর মাধ্যমে পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। তবে বিভিন্ন কারণে এই উপহার কলুষিত ও অবৈধ হয়ে যায়। এতে সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় না হয়ে বরং পারস্পরিক বিভেদ তৈরি হয়। যথা—

চাপে ফেলে উপহার গ্রহণ
উপহার স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেওয়ার বিষয়। কাউকে চাপে ফেলে বা বাধ্য হওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে উপহার নেওয়া অনুচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) উপহার আদান-প্রদানে স্বতঃস্ফূর্ত সন্তুষ্টির শর্ত দিয়েছেন। সুতরাং সামাজিকতার চাপে দেওয়া উপহার প্রকৃত উপহার হিসেবে বিবেচিত হবে না। এমন সব অপকৌশল অবলম্বন করাও বৈধ হবে না, যার মাধ্যমে মানুষের অসন্তোষ সত্ত্বেও তার থেকে অর্থ বা সম্পদ আদায় করা হয় বা সে দিতে বাধ্য হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮)

উপহারের জন্য ধনীদের আমন্ত্রণ
আমন্ত্রণ জানানো এবং তা গ্রহণ করা ইসলামি শিষ্টাচারের অংশ। রাসুলুল্লাহ (সা.) দাওয়াত কবুলকে মুসলমানের অধিকার আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘এক মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি অধিকার, যার অন্যতম হলো, কেউ দাওয়াত দিলে তা গ্রহণ করা।’ (বুখারি: ১২৪০) তবে ভালো উপহার পেতে কেবল বিত্তবানদের দাওয়াত দেওয়া নিন্দনীয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘যে ওয়ালিমায় কেবল ধনীদের আমন্ত্রণ জানানো হয় আর গরিবদের বর্জন করা হয়, সেই ওয়ালিমার খাবার নিকৃষ্ট খাবার।…’ (বুখারি: ৫১৭৭)

হারাম বস্তু উপহার দেওয়া
সরাসরি হারাম বস্তু উপহার হিসেবে দেওয়া ও নেওয়া—দুটোই হারাম। যেমন—মাদকদ্রব্য, কুকুর-শূকর ইত্যাদি হারাম প্রাণীর মাংস খাওয়া বা উপহার দেওয়া-নেওয়া হারাম। মহান আল্লাহ কেবল হালাল বস্তুই গ্রহণ করতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের আমি যে রিজিক দিয়েছি, তা থেকে হালালগুলো খাও।’ (সুরা বাকারা: ১৭২)

হারাম উপার্জন থেকে উপহার
হারাম পথে পাওয়া বা হারাম উপার্জন দিয়ে কেনা বস্তু উপহার হিসেবে দেওয়া-নেওয়া নিষেধ। যেমন—চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বা সুদ ও ঘুষের মাধ্যমে পাওয়া জিনিস বা হারাম পথে উপার্জন করা টাকাপয়সা দিয়ে কেনা জিনিস। এসব উপহার দেওয়া এবং জানা থাকলে তা নেওয়া জায়েজ নয়। আবু বাকরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল করেন না এবং হারাম পথে উপার্জিত সম্পদ থেকে দান-সদকা কবুল করেন না।’ (ইবনে মাজাহ: ২৭৪)

তদবির করে উপহার গ্রহণ
সুপারিশ, সালিস বা তদবির করে উপহার নেওয়া জায়েজ নয়। পদমর্যাদাকে কাজে লাগিয়ে সুপারিশ করে চাকরি দেওয়া বা বদলি করার তদবির করে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা হারাম। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি তার ভাইয়ের জন্য সুপারিশ করে, পরে সেই ব্যক্তি সুপারিশের জন্য তাকে কোনো উপহার দেয় এবং সুপারিশকারী তা গ্রহণও করে; তবে উপহার গ্রহণকারী যেন সুদের একটি বড় দরজার মধ্যে প্রবেশ করল।’ (আবু দাউদ: ৩৫৪১)

ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপহার গ্রহণ
ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাউকে ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা বা পদ-পদবি ব্যবহার করে অন্যায়ভাবে অর্থ উপার্জন করা ইসলামের দৃষ্টিতে বড় অন্যায় ও জুলুম। আবু হুমাইদ আস-সাঈদি (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আস্দ গোত্রের ইবনে লাতবিয়া নামক এক ব্যক্তিকে জাকাত উসুলের জন্য কর্মচারী নিযুক্ত করে কোথাও পাঠালেন। তিনি সেখান থেকে ফিরে এসে বললেন, এগুলো আপনাদের অর্থাৎ রাষ্ট্রের আর এগুলো আমাকে উপহার দেওয়া হয়েছে। এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘সে তার বাবা-মায়ের ঘরে বসে থেকে দেখে না কেন, তাকে উপহার দেওয়া হয় কি না?’ (বুখারি: ২৪৯৭; মুসলিম: ৪৮৪৩)

উপহার যখন কষ্টের কারণ হয়
উপহার একটি সুন্নত ও আন্তরিকতার বিষয়। এর জন্য কোনো উপলক্ষ বা আচার-অনুষ্ঠানের প্রয়োজন নেই। উপহারের পরিমাণ বা মূল্যমানও বড় বিষয় নয়। যখন যাকে ইচ্ছা তাকে যেকোনো পরিমাণের উপহার দেওয়া যায়। কিন্তু সমাজে বিয়ে, আকিকা, ওয়ালিমার মতো অনুষ্ঠানে উপহার বাধ্যতামূলক মনে করা হয়। দাওয়াত প্রদান ও গ্রহণ উভয় ক্ষেত্রে উপহার দিতে পারা ও না পারার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। অতিথিদের উপহার ও অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা তালিকাভুক্ত করা হয়। ফলে অনেকেই মানসিকভাবে কষ্টকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। কষ্ট নিয়ে উপহার আদান-প্রদান সঠিক নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘উত্তম কথা বলে দেওয়া ও ক্ষমা করা সেই সদকার চেয়ে উত্তম, যার পর কষ্ট দেওয়া হয়।…’ (সুরা বাকারা: ২৬৩)

বিনিয়োগ হিসেবে উপহার প্রদান
উপহার কোনো বিনিয়োগ বা ঋণ নয়। কাউকে কোনো উপলক্ষে উপহার দিয়ে এমন আশা করা উচিত নয় যে ওই ব্যক্তিও আমার বা আমাদের কোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষে এমন উপহার দেবেন। তাই উপহারকে বিনিয়োগ মনে করা জায়েজ হবে না। এর বিনিময়ে কোনো উপকারভোগের শর্তারোপ করা যাবে না। কারণ হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা একে অন্যকে উপহার দাও। এটি মনের শত্রুতা ও বিদ্বেষ দূর করে দেয়। এক নারী প্রতিবেশী অন্য নারী প্রতিবেশীকে উপহার দিতে যেন অবহেলা না করে এবং কেউ যেন উপহারকে তুচ্ছ মনে না করে; যদিও তা ছাগলের এক টুকরা খুরও হয়।’ (তিরমিজি: ২১৩০)

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘নাজায়েজ’ ইসলাম উপহার ধর্ম নেওয়া যেভাবে
Related Posts
তালাক

তালাক পরবর্তী মীমাংসায় ইসলামের নির্দেশনা

December 6, 2025
মূলনীতি

কোরআন ও সুন্নাহর মতে সফল মুমিনের তিন মূলনীতি

December 2, 2025
ভালোবাসা

কোরআন ও হাদিসের আলোকে আল্লাহর ভালোবাসা লাভের ১০ আমল

December 1, 2025
Latest News
তালাক

তালাক পরবর্তী মীমাংসায় ইসলামের নির্দেশনা

মূলনীতি

কোরআন ও সুন্নাহর মতে সফল মুমিনের তিন মূলনীতি

ভালোবাসা

কোরআন ও হাদিসের আলোকে আল্লাহর ভালোবাসা লাভের ১০ আমল

রিজিক

হাদিসের আলোকে রিজিক বৃদ্ধি

আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি

আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি কী—আলেমদের মতামত ও কোরআন-হাদিসের দলিল

পরকাল

কোরআনের আলোকে পরকাল ও কিয়ামতের ৩ মৌলিক স্তম্ভের ব্যাখ্যা

খরচ

যেসব খরচ মানুষের রিজিকে বরকতের দরজা খুলে দেয়

জুমার নামাজ

রজব ও জুমার দিনের ফজিলত: কোরআন-হাদিসে বিশেষ গুরুত্ব

ভূমিকম্পে দোয়া

ভূমিকম্প হলে যে দোয়া পড়তে বলেছেন বিশ্বনবী

ঈমান

ঈমান ও ইসলামের সম্পর্ক

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.