সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : রাজধানীর কাফরুল এলাকার চাঞ্চল্যকর নাজমা বেগমকে গুলি করে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আজাদ কাজী ওরফে কিলার আজাদ (৪৫) কে আঠারো বছর পর মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর এলাকা থেকে শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
রবিবার (১২ মার্চ) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৪ এ তথ্য জানায়। র্যাব জানায় কিলার আজাদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, গ্রেপ্তারকৃত আজাদ ও ভিকটিম নাজমা বেগম একই সাথে রাজধানীর কাফরুল থানার এলাকায় বসবাসসহ একই সাথে মাদক ব্যবসা করতো। মাদক ব্যবসার সুবাদে ভিকটিমের সাথে মাদক ব্যবসায়ী আজাদ, সিটু, হৃদয়, মানিক, হিরা এবং আমিরের পরিচয় হয়। ভিকটিম নাজমা বেগম উক্ত বিবাদীদের সাথে র্দীঘদিন ধরে অবৈধ মাদক ব্যবসা করে আসছিল।
মাদক ব্যবসার একপর্যায়ে মাদক ব্যবসার টাকা নিয়ে ভিকটিম নাজমা বেগম এর সাথে মাদক ব্যবসায়ী মানিক এবং কাজী আজাদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গত ইং ০৮/০৭/২০০৫ তারিখ সকাল আনুমানিক সাড়ে সাতটার সময় হৃদয়, মানিক, হিরা, আজাদ এবং আমির ভিকটিম নাজমা বেগমের বসত ঘরের ভিতর প্রবেশ করে ভিকটিম নাজমা বেগমকে ঘরের বাহিরে বের করে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করে তারা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মানিক, হিরা, আজাদ, সিটু, হৃদয় এবং আমির সহ অজ্ঞাতনামা আরো ০২/০৩ জনকে আসামি করে গত ইং ০১/০৭/২০০৫ তারিখ ডিএমপির কাফরুল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-১৪(০৭)০৫ তারিখ-১০/০৭/২০০৫ ইং, ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
মামলা হওয়ার পর আসামি হৃদয় ব্যতিত মানিক, হিরা, আজাদ, সিটু এবং আমিরদেরকে কাফরুল থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামি হৃদয় আত্মগোপনে চলে যায়। গ্রেফতারকৃত সকল আসামীরা ১৫ মাস কারাবাস থেকে জামিনে মুক্তি পায়।
এ মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহারনামীয় আসামি মানিক, হিরা, কিলার আজাদ, সিটু, হৃদয় এবং আমিরদেরকে অভিযুক্ত করে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। পরবর্তীতে চার্জশীটের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলার বিচারকার্য পরিচালনা করেন এবং পর্যাপ্ত স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ভিকটিম নাজমা বেগম হত্যাকান্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে ঢাকা জেলার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ চার্জশীটে অভিযুক্ত আসামি কিলার আজাদকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন।
পলাতক আসামি আজাদ মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় প্রথম থেকেই গত ১৮ বছর পলাতক ছিলো। জিজ্ঞাসাবাদ ও আরো যাচাই বাচাই শেষে জানা যায়, কিলার আজাদের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা মামলা, ০৮টি মাদক মামলাসহ মোট ১৮টি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সড়কের গাছ বিক্রি: ভ্যানচালককে বলির পাঠা বানিয়ে কাউন্সিলরের পকেট ভারি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।