বিনোদন ডেস্ক : ভায়োলেন্স, রক্ত, গুলি বর্ষণ! বক্স অফিস জয় করতে কি ইদানিং এই তিন হাতিয়ারকেই ব্যবহার করছেন ভারতীয় পরিচালকরা? নাকি এই ট্রেন্ড শুধুমাত্র দক্ষিণী ভারতীয় বা দক্ষিণী পরিচালকদের দ্বারাই সৃষ্ট? এর হয়তো সঠিক উত্তর জানা নেই। কারও সঙ্গে এর বিরুদ্ধে তর্কে নামলে, হুশ করে অপর জন হাতের উপর রাখবেন বক্স অফিস রিপোর্ট।
‘কেজিএফ’, ‘লিও’র বক্স অফিস রিপোর্ট দেখুন, কিংবা দক্ষিণী পরিচালকের হাতে তৈরি ‘জওয়ান’, ‘অ্য়ানিম্যাল’ ছবিতে নজর দিন। যেখানে ভায়োলেন্সই বক্স জেতার তুরুপের তাস। আড়াই ঘণ্টার ‘সালার- পার্ট ওয়ান, সিজফায়ার’ দেখতে দেখতেই আপনি এই দুটো প্রশ্নের মধ্যে আটকে যাবেন, গল্প দেখবেন নাকি অ্য়াকশন।
নাকি শুধু অ্যাকশনে ভরা দৃশ্য দেখে, হল থেকে রক্তগরম করে বেরিয়ে আসবেন! আসলে, সিনেমা মানে স্টোরি টেলিং। গল্প বলার ধরনেই থাকবে তার চমক। সেই গল্প বলার এক উপাদান হতে পারে অ্যাকশন। কিন্তু সেই উপাদানই যদি প্রধান হয়ে পড়ে? তাহলে যা দাঁড়ায় তাই হল পরিচালক প্রশান্ত নীলের ‘সালার’। যেখানে গল্প আছে, কিন্তু গল্প কিছুটা এগিয়ে আটকে থাকে অ্যাকশনে। বলা ভালো তুমুল অ্য়াকশনে। গর্জনে, গুলি বর্ষণে। আলো আঁধারির খেলায় একের পর এক চোখ ধাঁধানো শুধু ফ্রেম।
দুই বন্ধু। দেব ও বর্ধ। তবে এদের বন্ধুত্ব ঘটনাক্রমে শত্রুতার রূপ নেয়। আর রয়েছে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র টাট্টো। আর এক কাল্পনিক জগত খানসারে এদের বাস। যেখানে শুধুমাত্র দুষ্ট লোকেদেরই এন্ট্রি। এখানেই পা রাখে দেব। সেই খানসারের সম্রাট হওয়ার লড়াইয়ে মাতে দেব ও বর্ধ ওরফে প্রভাস ও পৃথ্বীরাজ। সেই পুরনো ফমূর্লা। সিংহাসনে বসার লড়াই।
‘সালার’ দেখতে বসলে, হলিউড ছবি ‘মর্টাল কম্ব্যাট’-এর কথা মনে পড়তে বাধ্য। কেননা, পরিচালক প্রশান্তের এই ছবির ধাঁচ একেবারেই ‘মর্টাল কম্ব্যাট’-এর মতো। যেখানে প্রশান্ত শুধুমাত্র নিয়ে এসেছেন দক্ষিণী স্টাইল। তবে গল্পের সাবপ্লট রয়েছে। রয়েছে জাতপাত, গরীব-বড়লোকের লড়াইয়ের কথাও। এসেছে রাজনীতিও। তবে পরিচালক এসবের উর্ধ্বে রাখলেন অ্যাকশনকেই। তাই কোনও ফ্রেমেই বাদ পড়ল না মারপিট, হাঙ্গামা। নায়িকা শ্রুতি হাসানের সঙ্গে প্রেম রয়েছে। তবে তা খুবই অল্প। এখানে বলা রাখা দরকার, ‘সালার’ ছবির গল্পে পরিচালক প্রশান্ত রেখেছেন দুটি টাইমফ্রেম, একটা ১৭৪৭, যেখানে উঠে আসবে উপজাতিদের লড়াইয়ের গল্প। যা কিনা মনে করাবে হলিউড ছবি ‘ব্ল্যাক প্যান্থারকে’। আর ২০২৩ সাল।
বাড়িতে ঢুকে অভিনেতা চার্লি শিনকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা প্রতিবেশীর
এই ছবির স্ট্রং পয়েন্টই হল অভিনয়। ‘বাহুবলী’র পর প্রভাস এই ছবিতে নজর কেড়েছেন। ‘আদিপুরুষ’-এর জড়তা কাটিয়ে ‘বাহুবলী’ প্রভাসের এটা রিয়াল কামব্যাক বলা যেতেই পারে। অন্যদিকে পৃথ্বীরাজ সুকুমারনও অসাধারণ। প্রভাসের সঙ্গে রীতিমতো টক্কর দিয়েছেন তিনি। শ্রুতি হাসান শুধুই সুন্দর পুতুল। তাঁর বিশেষ কিছু করার ছিল না। শেষমেশ বলতে হয়, হলিউড ছবির ধাঁচে দুই বন্ধুর শত্রুতার রক্তস্নাত গল্প হল ‘সালার’। ‘সালার পার্ট ওয়ান’ আড়াই ঘণ্টায় ব্লাডপ্রেসার বাড়িয়ে দিতে ওস্তাদ। না জানি দ্বিতীয় ভাগে থাকবে কী!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।