জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের বিচার বিভাগে বহুল আলোচিত শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সময় ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ-দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযুক্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ নিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে বিচার বিভাগের বেশ কিছু সুবিধাভোগী কর্মকর্তা চিহ্নিত হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে এবং ১৫ দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। যেসব বিচারক ও কর্মকর্তা ফ্যাসিস্ট সরকারকে সহযোগিতা করেছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বা দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত ও ব্যবস্থা
আইন মন্ত্রণালয় একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন একজন যুগ্ম সচিব। এই কমিটি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখছে। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—
-ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ নেওয়া
-মামলার রায়কে প্রভাবিত করা
-অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন
-রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়া
-বিশেষ করে বিগত সরকারের সময় যারা বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
-শোকজ নোটিশ পাওয়া বিচারকরা
আইন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ঢাকা ও কুমিল্লার কয়েকজন প্রভাবশালী সাবেক বিচারককে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, সাবেক মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) রেজাউল করিম, সাবেক অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (এসিএমএম) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর এবং সাবেক যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
বিশেষত, বিকাশ কুমার সাহার বিরুদ্ধে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া ও আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, রেজাউল করিম এবং আসাদুজ্জামান নূর স্বৈরাচারী সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দুর্নীতিবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করতে উদ্যোগ
বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয় আরও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে—
বিচারকদের সম্পদের হিসাব যাচাই করা হচ্ছে
তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বরখাস্তের পরিকল্পনা
দোষীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি
বিভিন্ন মহল আশা করছে, এই শুদ্ধি অভিযান বিচার বিভাগের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে। সরকারও জানিয়েছে, এই তদন্তে কোনো প্রভাবশালীকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে দেশের বিচার ব্যবস্থায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।