আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকা অবস্থায়ই চলচ্চিত্র ছেড়েছিলেন ভাগ্যশ্রী, টুইঙ্কল খান্নাসহ আরও অনেকে। যদিও এসব অভিনেত্রীদের মধ্যে অনেকেই আবার ফিরে এসেছেন। এর মধ্যে টুইঙ্কল লাইমলাইট থেকে দূরে গিয়ে এখন লেখক হয়েছেন। এ রকম আরেকজন অভিনেত্রী, যিনি মাত্র ১৯ বছর বয়সে চলচ্চিত্র ছেড়ে এখন ২৮ হাজার কোটি রুপি সংস্থার শীর্ষ নির্বাহী।
তবে তিনি আর অন্য কেউ নন, তিনি হলেন বলিউডের সাবেক অভিনেত্রী ময়ূরী কাঙ্গো। পড়াশোনায় বরাবরই ভালো অবস্থানে ছিলেন ময়ূরী কাঙ্গো। ময়ূরী কানপুর আইআইটিতে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু আর পাঁচজনের মতো তিনিও এসেছিলেন মায়ানগরী মুম্বাইতে ভাগ্য পরীক্ষার জন্য। তবে ময়ূরীর ফিল্মি ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি। তাই একদিন গ্ল্যামার দুনিয়া ছেড়ে তিনি পা রাখেন করপোরেট দুনিয়ায়।
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী তখন ময়ূরী কাঙ্গো। পরিচালক সাঈদ আখতার মির্জার নজরে পড়েন তিনি। ময়ূরীর সৌন্দর্য আর পাঁচটা বলিউড নায়িকার চেয়ে অনেকটাই আলাদা ছিল। এক অদ্ভুত সরলতা ছিল তার সৌন্দর্যে। ১৯৯৫ সালে সাঈদ তার ছবি ‘নাসিম’-এ ময়ূরীকে প্রথম সুযোগ দেন। প্রথমে একটু ভয় পেয়েছিলেন ময়ূরী।
পড়াশোনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কীভাবে অভিনয় করবেন, সেটা ভেবেই পাচ্ছিলেন না তিনি। পরে অবশ্য সাঈদের প্রস্তাব গ্রহণ করেন ময়ূরী। ‘নাসিম’ ছবি দেখে চিত্র পরিচালক মহেশ ভাটের বেশ পছন্দ হয় নবাগত ময়ূরীকে। মহেশ তার পরবর্তী ছবি ‘পাপা ক্যাহতে হ্যায়’-এর নায়িকা হিসেবে নেন তাকে। এই ছবি ময়ূরীকে তারকাখ্যাতি দিয়েছিল।
আজও সিনেমাপ্রেমীদের স্মৃতিতে আছেন তিনি মহেশের এই ছবির জন্যই। এরপর তার অভিনীত ‘হোগি প্যায়ার কি জিত’, ‘বেতাবি’, ‘বাদল’ ছবিগুলো মোটামুটি আয় করেছিল। কিন্তু ময়ূরীর বাকি ছবিগুলো বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তাকে শেষ বড় পর্দায় দেখা গেছে তেলেগু ছবি ‘ভামসি’-তে। এই ছবিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন দক্ষিণি তারকা মহেশ বাবুর সঙ্গে। বেশ কিছু টেলিভিশন ধারাবাহিকে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু এখানেও তিনি সফলতা পাননি। ময়ূরী অভিনীত প্রায় ১৬টি ছবি মুক্তি পায়নি। আর প্রযোজকদের জন্য তিনি দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।
অবশেষে ছবির জগতে সেভাবে সফলতা না পাওয়ায় গ্ল্যামার দুনিয়াকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ২০০৩ সালে এনআরআই আদিত্য ঢিল্লনের সঙ্গে ঔরাঙ্গাবাদে গাঁটছড়া বাঁধেন এই বলিউড অভিনেত্রী। বিয়ের পর আদিত্যর হাত ধরে সুদূর মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমান ময়ূরী।
ঐশ্বরিয়ার যে শর্ত মানতে না পেরে ব্রেকআপ করেছিলেন সালমান খান
আর এখানেই তিনি বিপণন ও অর্থায়নের ওপর এমবিএ করেন। শুরু হয় ময়ূরীর নতুন এক জীবন। ২০১২ সাল পর্যন্ত আমেরিকায় চাকরি করেছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে নিজ দেশ ভারতে ফিরে আসেন ময়ূরী। আর এখানে এসে ফরাসি বিজ্ঞাপন কোম্পানি পারফরমিক্সে কাজ করেন তিনি। ২০১৯ সালে তার জীবনে আসে বড় এক সুযোগ। গুগল ইন্ডিয়ায় যোগ দেন তিনি। গুগল ইন্ডিয়ার প্রধান পদে নিযুক্ত হন ময়ূরী। ইকোনমিক টাইমস অনুসারে, গুগল ইন্ডিয়ার মোট বিজ্ঞাপনের আয় ২৮ হাজার কোটি রুপি। অনলাইন অবলম্বনে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।