বিনোদন ডেস্ক : অধরা খান। চিত্রনায়িকা। ‘ঋতুকামিনী’ নামে নতুন একটি সিনেমায় কাজ শুরু করেছেন তিনি। জাহিদ হোসেন পরিচালিত এ সিনেমা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তাঁর সঙ্গে
‘ঋতুকামিনী’তে কাজের আগ্রহ হলো কেন?
প্রথমত, অসাধারণ একটি গল্প নিয়ে সিনেমাটি তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয়ত, জাহিদ হোসেন একজন গুণী নির্মাতা। সিনেমার গল্প ও চিত্রনাট্যও তাঁর। তিনি সবসময় ভিন্নধারার সিনেমা নির্মাণ করেন। আমি সবসময় মাসালা টাইপ সিনেমা করে আসছি। এই সিনেমাটি সম্পূর্ণ বিপরীত। চরিত্রটিও আমার বেশ মনে ধরেছে। সব মিলিয়ে সিনেমাটিতে কাজের প্রতি আগ্রহ না থাকার কোনো কারণ ছিল না। তা ছাড়া অনেক দিন ধরে ভালো গল্পের সিনেমা পাচ্ছিলাম না। চেয়েছি ভালো একটি সিনেমা দিয়ে ফিরতে।
শুনেছি এর দৃশ্য ধারণ শুরু হয়েছে। কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
বেশ ভালো। এখানে আমি গ্রামের একটি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। নন গ্ল্যামার একটি চরিত্র। এটি আমার জীবনযাপনের বিপরীত। এ ধরনের চরিত্রে এই প্রথম অভিনয়। এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে চরিত্রের লুক প্রকাশ হয়েছে। এতে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন সজল। তাঁর সঙ্গে কাজের রসায়ন বেশ জমেছে। আমার ভীষণ পছন্দের মানুষ তিনি। গত সোমবার গাজীপুরের কালীগঞ্জ ভাঘুন এলাকায় শুটিংয়ে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়েছিলাম। ওইদিন কত কষ্ট করে শুটিং করেছি চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবেন না। শুটিং সেটের আশপাশ পানিতে ভরে গিয়েছিল। একপাশে সাপ। অন্যপাশে ব্যাঙ, পোকমাকড়। ছিল না বিদ্যুৎ ও পানি। ভয়ে ভয়ে শুটিং করতে হয়েছে।
বলেছিলেন আপনার জীবনযাপনের বিপরীত একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কাজটি কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?
খুব চ্যালেঞ্জিং। চরিত্রটি আমি ভালোভাবে করতে পারব কিনা, এটি ভেবে নির্মাতা সন্দিহান ছিলেন। এ কারণে তিনি আমাকে চরিত্রটি ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। যেভাবে তিনি বলেছেন, সেভাবেই কাজটি করেছি। কতটুকু ভালো করতে পেরেছি দর্শক পর্দায় দেখলে, তা বঝুতে পারবেন।
হাতে থাকা কাজের কী খবর?
ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘দখিনা দুয়ার’ সিনেমার কাজ শেষ করেছি। এটি এখন মুক্তির প্রহর গুনছে। আর ‘দ্য রাইটার’ সিনেমার কিছু কাজ বাকি আছে। এ ছাড়া আরও একটি সিনেমার কাজ শুরু করব শিগগিরই। এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে বারণ আছে।
‘দখিনা দুয়ার’ সিনেমাটি নিয়ে কেমন আশাবাদী?
নাচ-গাননির্ভর সিনেমা থেকে দর্শক এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আমরা এখন গল্প ও থিমনির্ভর কাজ করছি। ‘দখিনা দুয়ার’ সে রকমই একটি সিনেমা। সিনেমার নামের ভেতরই গল্প লুকিয়ে আছে। ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড সবসময়ই ভালো কনটেন্ট নিয়ে কাজ করেন। দক্ষিণাঞ্চলের একটি বিষয়ের ওপর এটি নির্মিত হয়েছে। বড় তারকার সমাহার রয়েছে এতে। সব মিলিয়ে দর্শকেরও বেশ আগ্রহ জন্মেছে সিনেমাটি নিয়ে। এটি ভালো কিছু হবে, এ আশা করাই যায়।
এবার একটু ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে আসা যাক। আপনার বাগদান হয়েছে এক যুগ। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারবেন কবে?
ছোটবেলায় পারিবারিকভাবে বাগদান হলেও আমাদের চেনা জানার জন্য আরও একটু সময় লাগবে। তা ছাড়া এখন ক্যারিয়ার গোছাচ্ছি। এ কারণে বিয়ের জন্য আরও সময় নিতে চাই। আমার ভালোবাসার মানুষ কানাডায় থাকেন। মানুষ হিসেবে তিনি খুবই ভালো। আমার সিনেমায় অভিনয়ের ব্যাপারে তাঁর যথেষ্ট আগ্রহ আছে। সবসময় অনুপ্রেরণা পাচ্ছি।
দেশ-বিদেশে অনেক ভ্রমণ করছেন…
ঘুরতে কে না পছন্দ করে। আমি একটু ওপেন ঘুরি, আর সবাই লুকিয়ে লুকিয়ে ঘুরতে পছন্দ করে। সব নায়িকারাই দেশের বাইরে যান। শুধু ফোকাস হয় আমার ওপর। ভালোই লাগছে আমার প্রতি সবার আগ্রহ আছে। দেশের বাইরে আমাদের পারিবারিক ব্যবসা আছে। পরিবারের ৮০ ভাগ মানুষ থাকেন বিদেশে আর আমার ঘোরারও বাতিক আছে [হাসি]। আমি দেশের বাইরে যাব না কে যাবে?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।