বিনোদন ডেস্ক : মণীষা কৈরালা। তরতাজা অভিনেত্রী। ক্যান্সারের মতো মারণরোগের সঙ্গে লড়াই। বলিউডে পাকাপোক্ত জায়গা। এ সবের বাইরেও তাঁর জীবনের একটা কালো সময় থেকে গিয়েছে। সেই অশান্তির সময় প্রকাশ পেল তাঁর মা সুষমা কৈরালার মাধ্যমে।
কী করেছিলেন মণীষার মা?
১৯৯১ সালে নেপালি মেয়ে মণীষাকে ‘সওদাগর’ ছবিতে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করান পরিচালক সুভাষ ঘাই। তার সঙ্গেই রটে যায় সুভাষ ঘাই জোর করেই নাকি মণীষার ওপর যৌন নির্যাতন করেছিলেন। এই খবরে সে সময় উত্তাল হয় বলিউড।
মণীষা নিজে এ নিয়ে মুখ না খুললেও তাঁর মা সর্বত্র এই যৌন নিগ্রহের ঘটনার কথা বলতে আরম্ভ করেন। নায়িকা চুপ করে থাকলেও তাঁর মা যখন এই ঘটনাকে মান্যতা দেন তখন ক্রমশই পরিচালকের প্রতি বিরূপতা দেখাতে আরম্ভ করে বলিউড।
মণীষার মা জানান তাঁর মেয়ে কোথায় যাবে? কী পরবে? কার সঙ্গে মেলামেশা করবে সে সময় তার সব কিছুই সুভাষ ঘাইয়ের নিয়ন্ত্রণে ছিল। মণীষা নিজে কিছুই করতে পারতেন না। কিছু বলতেনও না। অবস্থা এমন হয় যে মেকআপ ভ্যানে মণীষার সঙ্গে আলাদা কথা বলতে চাইলেও পরিচালক তাঁর মাকে প্রবেশের অনুমতি দিতেন না। অথচ তিনি নিজে দিনের পর দিন মণীষার সঙ্গে একা মেকআপ ভ্যানেই সময় কাটাতেন।
মেয়ের ওপর পরিচালকের এমন নিয়ন্ত্রণ মায়ের সহ্যসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল, তিনি এই ঘটনা সর্বত্র বলতে থাকেন। সুভাষ ঘাই যে মণীষার ওপর যৌন নিগ্রহ করেছেন সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই তিনি জানান মণীষা ভয় পেয়ে, লজ্জায় মুখ খোলেননি।
তবে বি-টাউনের একাংশের ধারণা মণীষার মা মিথ্যে পরিচালকের ওপর দোষারোপ করেছেন। যদিও মণীষা এই যৌন নিগ্রহ নিয়ে বরাবর মুখে কুলুপ এঁটেছেন। আদৌ কী যৌন নিগ্রহ হয়েছিল? রহস্যের জট খুলতে চাননি অভিনেত্রী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।