বিনোদন ডেস্ক : কথায় আছে ভালোবাসায় না আছে কোন ধর্ম না কোন বর্ণ। তাই সম্পর্কে জড়িয়ে অনেকেই অনেক রকম সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। পছন্দের মানুষকে নিজের করে পেতে অনেক কঠিন পথও বেছে নিতে হয়। কেউ বাড়ির অমতে পালিয়ে বিয়ে করেন, আবার কেউ বিয়ের জন্য ধর্মও বদলে ফেলেন। তারকারাও এই তালিকা থেকে বাদ যান না। প্রেম-ভালোবাসা যে কোনো বাধা মানে না তার প্রমাণ দিয়েছেন বলিউডের অনেক অভিনেত্রী।
তাদের মধ্যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এমন কয়েকজন অভিনেত্রী হলেন- হেমা মালিনী, আয়েশা টাকিয়া, রাখি সাওয়ান্ত, অমৃতা সিং, শর্মিলা ঠাকুর প্রমুখ। অভিনেত্রী হেমা মালিনীর স্বামী ধর্মেন্দ্র তার প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়েই হেমাকে বিয়ে করেন। হিন্দু ধর্মে এমন নিয়ম নেই বলে, তারা ইসলাম মতে বিয়ে করেছিলেন। যে কারণে বিয়ের সময় ইসলাম গ্রহণ করেন এই জুটি।
সেই অনুসারে তাদের নতুন নাম হয় দিলাওয়ার এবং আয়েশা। এদিকে এক সময় বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা হয়ে উঠেছিলেন আয়েশা টাকিয়া। তার মা ছিলেন অ্যাংলো ইন্ডিয়ান এবং বাবা হিন্দু। যদিও তিনি বিয়ে করেন মুসলিম ছেলে ফারহান আজমিকে। আর তাই তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হয়। অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত বলিউডে ড্রামা কুইন নামেই খ্যাত। তার প্রথম বিয়ে ভাঙার পর দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন প্রেমিক আদিল শাহকে। যার জন্য তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং নতুন নাম রাখেন ফাতিমা। যদিও কিছুদিন পরই স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহ হিংসার অভিযোগ এনে বিয়ে ভেঙে দেন। অন্যদিকে বলি অভিনেত্রী অমৃতা সিং-এর জন্ম শিখ পরিবারে। তবে মুসলিম অভিনেতা সাইফ আলি খানকে বিয়ে করার জন্য তাকেও ধর্মান্তরিত হতে হয়েছিল। যদিও তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক টেকেনি। বিয়ের ১৩ বছর পর তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
টলিউড এবং বলিউডের একজন নামী নায়িকা ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। ১৯৬৮ সালে তিনি পতৌদি নবাব মনসুর আলি খানকে বিয়ে করেন।
স্বাভাবিকভাবেই হিন্দু হয়ে মুসলিমকে বিয়ে করার জন্য শর্মিলাকেও বিয়ের আগে ইসলাম গ্রহণ করতে হয়। মুসলিম হয়ে তার নতুন নাম হয় বেগম আয়েশা সুলতানা। এছাড়াও বলিউডে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন যারা মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করলেও নিজ নিজ ধর্ম পালন করছেন। কিছুদিন আগেই বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা এবং অভিনেতা জহির ইকবাল হিন্দু বা মুসলিম রীতি ছাড়াই বিয়ে করেছিলেন। বিয়ে করলেও তারা নিজ নিজ ধর্মেই রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।