বিনোদন ডেস্ক : আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ নিয়ে কথা বলেছেন গ্রেপ্তার অভিনেত্রী শমী কায়সার। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষর্থীদের ওপর গরম পানি নিক্ষেপের কথা যে গ্রুপে (আলো আসবেই) বলা হয়েছিল, সেই গ্রুপে আমি ছিলাম না।
এ অভিনেত্রী আরও বলেন, আন্দোলনে যে ধ্বংসযোগ্য চলছিল, সেসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছি, কাউকে অভিযোগ করে বক্তব্য দেইনি আমি। আর ওই সময় শেখ হাসিনা সরকারকে কোনো ধরনের সহায়তা করিনি। যখন ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল, তখন আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বারবার সেটা চালুর কথা বলেছি।
বুধবার (৬ নভেম্বর) চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেছেন অভিনেত্রী শমী কায়সার। এর আগে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা তাকে।
গত ৫ আগস্ট সাধারণ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর দেশত্যাগের পর থেকে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার গ্রেপ্তার হন অভিনেত্রী শমী কায়সার।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সাধারণ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় একজন আহত হওয়ার ঘটনায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে ‘আলো আসবেই’ নামের একটি গ্রুপের কথোপকথনের কিছু স্ক্রিনশট ফাঁস হয়। তাতে দেখা যায়, শোবিজের কয়েকজন শিল্পীকে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতের সঙ্গে আন্দোলন দমনে একাত্মতা পোষণসহ পরামর্শ দিয়েছেন।
ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশটে আরও দেখা গেছে, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, সোহানা সাবাকে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে দেখা যায়। যেভাবেই হোক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামার পক্ষে মতামত দেন তারা। আবার অরুণা বিশ্বাস পরামর্শ দেন শিক্ষার্থীদের ওপর গরম পানি ঢালার। এমনকি গ্রুপটিতে জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়েও কথা বলতে দেখা গেছে গ্রুপ সদস্যদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।