জুমবাংলা ডেস্ক : দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মো. সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় আদালতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে সোলাইমান সেলিম।
আজ রোববার বিকেল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন হাজী সেলিম। পরে ঢাকার সাত নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আইনজীবী শ্রী প্রান নাথের মাধ্যমে যেকোনো শর্তে জামিনের আবেদন করেন হাজী সেলিম। আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
হাজী সেলিমের ছেলে সোলাইমান সেলিম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, পুরান ঢাকার মাটি ও মানুষের নেতা, স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা হাজী মো. সেলিম আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আজ নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং জামিনের আবেদন জানান। এ সময়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মহামান্য আদালতের কাছে আবেদন থাকবে তার তৃতীয় আবেদন মঞ্জুর করে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার সুব্যবস্থা করা হোক।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছিল দুদক। এরপর দুদক মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল করে। জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে প্রায় ২৬ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন ও প্রায় ১০ কোটি ৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগের এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল রায়ে তার একটি ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনে হাজী সেলিমকে সহযোগিতা করার দায়ে তার স্ত্রী গুলশান আরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম ও তার স্ত্রী গুলশান আরা বেগম এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেন।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই নির্দেশনার আলোকে গত বছর ৯ মার্চ হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।