জুমবাংলা ডেস্ক : ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ২৫ বছরের চুক্তি করেছিল আদানি পাওয়ার লিমিটেড। কিন্তু বকেয়া নিয়ে বিরোধের কারণে গত নভেম্বর মাসে হঠাৎ করেই ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ১৬০০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি থেকে বাংলাদেশে সরবরাহ কমিয়ে দেয় কোম্পানিটি। এতে কেন্দ্রটি থেকে এক-তৃতীয়াংশ বা প্রায় ৩৩ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ কমেছে। ভারতের সরকারি তথ্যের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় গঠিত আঞ্চলিক বিদ্যুৎ কমিটির তথ্যের বরাতে রয়টার্স জানায়, নভেম্বরে গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশে ৪৫০ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ রপ্তানি করেছে, যা বার্ষিক ভিত্তিতে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ কম।
ভারতের ইস্টার্ন রিজিওনাল পাওয়ার কমিটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে আদানির এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে একমাসে সর্বনিম্ন সরবরাহের রেকর্ড এটি। গত বছরের ডিসেম্বরের পর যা আদানির কাছ থেকে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন বিদ্যুৎ আমদানির ঘটনা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোড্ডায় অবস্থিত আদানির এই প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ রপ্তানি করা হয়, তা আগস্টে শেখ হাসিনা সরকার পতনের আগের ১২ মাসে দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ৯ শতাংশ ছিল। চুক্তি অনুযায়ী, গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত সব বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এদিকে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যাওয়ায় চাহিদা মেটাতে জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ। পাওয়ার গ্রিড অপারেটরের তথ্য পর্যালোচনা করে রয়টার্স দেখেছে, টানা ২১ মাস কমার পর নভেম্বরে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি তেলের ব্যবহার ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। তার আগে টানা ২১ মাস ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি তেল-নির্ভরতা কমেছিল।
রয়টার্স আরও জানায়, টানা পাঁচ মাস কমার পর নভেম্বরে প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনও ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে, টানা তৃতীয় মাসের মতো কমেছে কয়লাচালিত বিদ্যুতের উৎপাদন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।