বিনোদন ডেস্ক : ১৭ জুন দেশের ৫৩টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘তালাশ’। এই সিনেমার মাধ্যমে নায়ক হিসেবে প্রথমবারের মতো রূপালি পর্দায় অভিষেক হয়েছে আদর আজাদের। এতে তাকে একজন নেশাগ্রস্ত রকস্টারের চরিত্রে দেখা যাবে। আদরের বিপরীতে অভিনয় করেছেন শবনম ইয়াসমিন বুবলী।
ছবিটি পরিচালনা করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা সৈকত নাসির। আর সিনেমাটি নির্মাণের সময় ১৪ দিনে নায়িকার কাছ থেকে ৭২টিরও বেশি চড় খেতে হয়েছে এই অভিনেতাকে।
সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশনে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন অভিনেতা আদর আজাদ ও চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। সেখানেই সিনেমা নির্মাণ ও এর পেছনের বিষয়ে কথা বলেন তারা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই নায়িকা ও অভিনেতার কাছে সিনেমায় তাদের ক্যামেস্ট্রির ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে শবনম বুবলী বলেন, আদর আজাদের সঙ্গে আমার প্রথম কাজ করা। সবমিলে অভিজ্ঞতা খুবই ভালো ছিল। আর আমরা ওই চরিত্রগুলোই ধারণ করেছি, একদমই গল্পের সঙ্গে। যে কারণে আমাদের ক্যামেস্ট্রি হয়তো ভালো লাগছে দর্শকদের কাছে।
সিনেমায় আদর আজাদকে গিটার হাতে দেখা গেছে। আর সিনেমার এ দৃশ্যের সঙ্গে অভিনেতার বাস্তব জীবনেরও মিল রয়েছে, এ বিষয়ে সঞ্চালক জানতে চাইলে তিনি বলেন—২০০৮ সালের ঘটনা। তখন বন্ধুরা মিলে হঠাৎ করে একটা ব্যান্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তখন এই তাৎক্ষণিক কথায় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেয়া। আমার সাইকেল ও ল্যাপটপ ছিল। তখন ল্যাপটপ বন্ধক রেখে ও সাইকেল বিক্রি করে টাকা যোগার করি। তারপর ইয়ামাহার একটি সেমি প্রফেশনাল কি-বোর্ড ক্রয় করি। এভাবেই ব্যান্ডটির যাত্রা শুরু হয়। সেখানে আমি মেইন কি-বোর্ডিস্ট ও সাইড ভোকালিস্ট ছিলাম।
এরপরই সঞ্চালক নায়িকার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, সিনেমার দৃশ্যে নায়ককে একের পর এক চড় মারতে দেখা যাচ্ছে। বুবলী বলেন, এটা গল্পের প্রয়োজনে করতে হয়েছে। তবে পরবর্তীতে তার জন্য (আদার আজাদ) আমার মায়া লাগছিল। এর মধ্যে আদর বলেন, ওহ! ১৪টা দিন। এই ক’দিনে হয়তো ৭২টিরও বেশি চড় খেতে হয়েছে।
অভিনেত্রী বলেন, চড়ের ব্যাপারটি শুধু এই ফিল্মে না, আমার অনেকগুলো ফিল্মেই এটা রয়েছে। সব সময় যে একসঙ্গে দুটো চড় মারা হয়েছে তা না, এটা প্রথম সিনেমা থেকেই শুরু হয়েছে। হয়তো শুরু থেকে হয়েছে বলে এখনো এটার ধারাবাহিকতা আছে।
এদিকে অভিনেতা আদর বলেন, চড় তো ৭২টা না। তবে আমার জায়গা থেকে চড়গুলো ইনজয় করেছি আমি। কারণ হচ্ছে, আমাকে যখনই চড় মারা হচ্ছে, তারপরই তার (বুবলী) ডায়লগ হচ্ছে—সরি, সরি (হাসতে হাসতে)। টানা দুটো চড় মারার পর ‘সরি সরি’ বললে ব্যথা পাওয়ার অপশনটা কোথায়। সূত্র : চ্যানেল ২৪
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।