Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ‘আদিবাসী’ শব্দটি নিয়ে বারবার কেন বিতর্ক
    জাতীয়

    ‘আদিবাসী’ শব্দটি নিয়ে বারবার কেন বিতর্ক

    Shamim RezaJanuary 18, 20258 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, নাকি আদিবাসী? ঠিক কোন শব্দের মধ্য দিয়ে ‘তাদেরকে’ সংজ্ঞায়িত করা হবে? বাংলাদেশে এই দ্বন্দ্ব কিংবা বিতর্ক বেশ পুরনো। খবর বিবিসি’র।

    Adibashi

    সম্প্রতি মাধ্যমিক পর্যায়ের একটি পাঠ্যবইয়ের প্রচ্ছদ থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দ সংবলিত একটি গ্রাফিতি বাদ দেওয়াকে কেন্দ্র করে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সামনে আন্দোলনরত বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ‘আদিবাসী’ শব্দ সংক্রান্ত ওই বিতর্কটি নতুন করে সামনে এসেছে।

    হামলাকারীরা শব্দটির অর্থের ব্যাপারে নিজস্ব মতামত তুলে ধরে নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের ‘আদিবাসী’ পরিচয় মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্যও দিয়েছেন।

    তাদের দাবি, বাংলাদেশে আদিবাসী নেই এবং জাতিসংঘও তাদেরকে আদিবাসী হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি। সেইসঙ্গে, বাংলাদেশ যদি কাগজে-কলমে তাদেরকে আদিবাসী হিসাবে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব দীর্ঘমেয়াদে সংকটময় পরিস্থিতির মাঝে পড়তে পারে।

    প্রশ্ন হলো, আদিবাসী শব্দের বিপক্ষে অবস্থানকারীদের মনে এই ধরনের আশঙ্কা কেন? যাদের অবস্থান এই শব্দের পক্ষে, তাদের যুক্তিগুলোই বা কী?

    এই টানাপোড়েন নিষ্পত্তির কোনও সমাধান কি আদৌ রাষ্ট্রের হাতে আছে?

    আদিবাসী কারা এবং ‘আদিবাসীদের’ চাওয়া

    আক্ষরিকভাবে ধরলে আদিবাসী শব্দের অর্থ দাঁড়ায় ভূমিপূত্র। অর্থাৎ, ভূমির আদি বাসিন্দা।

    যদিও বাংলাদেশ সরকার কখনোই কাগজে-কলমে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদেরকে এই ভূমির আদি অধিবাসী হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি, এমনকি ‘আদিবাসী’ শব্দটিও গ্রহণ করেনি।

    তাদের পরিচয় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’ হিসাবে।

    এমনকি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা গণমাধ্যমে তাদের যাতে আদিবাসী হিসাবে বর্ণনা করা না হয়, সেজন্য কঠোর ছিল গত সরকার।

    উদাহরণস্বরূপ, বিগত সরকারের সময়ে বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলো, গণমাধ্যমে যাতে ‘আদিবাসী’ শব্দটি ব্যবহার না করা হয়।

    তারও আগে ২০১১ সালে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকদের আহবান জানিয়েছিলেন যাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের ‘ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর’ জনগণকে যাতে ‘আদিবাসী’ বলা না হয়। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে বাঙালিরাই এখানকার আদিবাসী।

    সেবার তিনি গণমাধ্যমের সম্পাদকদেরও ‘আদিবাসী’ শব্দটি ব্যবহার না করার অনুরোধ করেন।

    বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ-সাধারণ সম্পাদক গজেন্দ্র নাথ মাহাতো মনে করেন, বিগত সরকারের আমল থেকে এই শব্দটি নিয়ে বিতর্কটা বেশি হচ্ছে।

    তিনি বলেন, ওই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস আসার দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের সমস্ত অফিস এবং ইলেকট্রনিক-প্রিন্ট মিডিয়াকে তারা চিঠি পাঠাতো যে কেউ যেন আদিবাসী শব্দ ব্যবহার না করে।

    তার মতে, ‘সরকার আদিবাসী বলতে আদি বাসিন্দা, এরকম একটা অর্থ দাঁড় করাতে চায়। বিষয়টা কিন্তু সেটি না। প্রকৃতপক্ষে এই ভূ-খণ্ডের আদি বাসিন্দা যদি বলি, অবশ্যই সেটা বাঙালিরাই। তবে কোনও কোনও আদিবাসী আছে, যারা এই ভূখণ্ডের আদি বাসিন্দা।’

    তিনি পরিষ্কারভাবে বলেন যে আদিবাসীরা কখনোই দাবি করেনি যে তারা এই ভূখণ্ডের আদি বাসিন্দা। তাহলে আদিবাসী শব্দের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পেতে যাওয়া কারণ কী?

    এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তাদেরকে সকলেই আদিবাসী হিসাবেই চিনে ও জানে। ‘বিশ্বব্যাপী আদিবাসীর যে সংজ্ঞা আছে’, সেই ‘সংজ্ঞা অনুযায়ীও আমরা আদিবাসী।’

    উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখ জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের সকল আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার-বিষয়ক জাতিসংঘের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করা হয়, যা ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস ডিক্ল্যারেশন অন্য দ্য রাইটস অব ইনডিজেনাস পিপলস’ নামে গৃহীত হয়।

    আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার-বিষয়ক জাতিসংঘের ওই ঘোষণাপত্রে পক্ষে ১৪৪টি দেশ ভোট দিয়েছিলো। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছিলো বিপক্ষে ভোট। আর ১১টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থেকেছিলো, বাংলাদেশ হলো সেই দেশগুলোর মাঝে অন্যতম।

    এখন, ২০০৭ সালে গৃহীত হওয়া সেই ঘোষণাপত্রে ‘আদিবাসীদের’ নানাবিধ অধিকারের কথা বলা হলেও সুনির্দিষ্টভাবে ‘আদিবাসীদের’ কোনও সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি।

    তবে জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী, আদিবাসী সংজ্ঞায়ন কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে।

    যেমন– ঔপনিবেশিক আমল থেকে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে আছে কি না। অর্থাৎ, ওই অঞ্চলের ভূমির সাথে তাদের গভীর সংযোগ থাকতে হবে।

    সেইসাথে, যাদের নিজস্ব সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থা থাকার পাশাপাশি নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও বিশ্বাসও অক্ষুণ্ণ রয়েছে। কাউকে নিপীড়ন করে ওই ভূখণ্ড দখল করার ইতিহাস যাদের নেই ও যারা ওই এলাকার আধিপত্যবাদী গ্রুপ না।

    গজেন্দ্র নাথ মাহাতো এইসব বৈশিষ্ট্যের কথাই উল্লেখ করেছেন। তার ভাষ্য, সংজ্ঞা অনুযায়ী আদিবাসীদের নির্দিষ্ট কিছু সংস্কৃতি-ভাষা আছে, তারা সহজ-সরল মনের, প্রকৃতির সাথে তাদের সংযোগ আছে, শিক্ষা-দীক্ষায় তারা ততটা অগ্রসর না, আদিবাসীদের চেহারা দেখলেই বোঝা যায় যে এরা আদিবাসী।

    তিনি বলেছেন, এই ভূখণ্ডে কে আগে এসেছে এবং কে পরে এসেছে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে না; তারা এই আদিবাসী পরিচয় চায় তাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, রীতি-নীতি ইত্যাদি বিবেচনায়।

    ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী না, আদিবাসী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানান এই নেতা।

    তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই এ দেশে সাগরাম মাঝি আদিবাসী ছাত্রাবাস, আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয়, আদিবাসী কলেজ আছে।

    তাহলে আজকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমরা আদিবাসী দাবি করবো কেন? দাবীর তো প্রশ্ন নাই। আমি আদিবাসী, আমি এই পরিচয়েই থাকতে চাই।

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সরকারি কাগজপত্রে তাদেরকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    বাংলাদেশ সরকারের ২০১৯ সালে প্রকাশিত এক গেজেটে দেখা যায়, বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও দেশের অন্যান্য এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ৫০টি। তারা সবাই নিজেদের ‘আদিবাসী’ হিসাবে দাবি করেন।

    বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ যদিও তাদের অক্ষুণ্ণ নিজস্বতার কথা বিবেচনায়ই এই দাবি করছেন।

    কিন্তু বিশ্বব্যাপী তাকালে, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকায় যাদের আদিবাসী বলা হয়, তাদের ক্ষেত্রে যে ধরনের পরিস্থিতি হয়েছিলো, বাংলাদেশে সে রকম কিছু হয়নি।

    যেমন, ন্যাটিভ আমেরিকানদের আমেরিকা মহাদেশের আদিবাসী তথা ভূমিপুত্র হিসাবে গণ্য করা হয়। আবার অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের বেলায় ‘অ্যাবরিজিন’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান হাসান এ শাফী বলেন, ন্যাটিভ আমেরিকানরা ওখানে ১৪ হাজার বছর ধরে বসবাস করেছে। কিন্তু পরে সেখানে হোয়াইটরা যায় এবং ওদেরকে অত্যাচার করে সেই এলাকাগুলো দখল করে নেয়। অস্ট্রেলিয়ার সরকার কিছুদিন আগে অ্যাবরিজিনালদের সরি বলেছে, কারণ তারা অপরাধ করেছে।

    তার মতে, এইসব স্থানে আগে-পরে কে গিয়েছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নাই। কিন্তু আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন।

    সেইসাথে, নৃবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে যাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আছে, তারাই নৃ-গোষ্ঠী। সেই হিসাবে বাঙ্গালীও একটি নৃ-গোষ্ঠী। “সংখ্যায় কম-বেশি হতে পারে। শব্দগত দিক থেকে সবাই নৃ-গোষ্ঠী।

    কারণ বাংলাদেশের মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতি চার হাজার বছরের পুরনো। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবারত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ ১৬ শতকে মিয়ানমার এবং কম্বোডিয়া থেকে আসা শুরু করে।

    অধ্যাপক শাফী বলেন, তাহলে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তথা আদিবাসীদের সামগ্রিকভাবে ডিফাইন করলে দেখা যায় যে এরা এদের ব্রিটিশ ঐতিহ্যকেই ধরে রেখেছে। তারা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধরে রেখেই জীবনযাত্রা বহমান রেখেছে। তাদের ভাষা আলাদা। ভূমিকে মা হিসাবে দেখে। এই যে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য, সেজন্য তারা সামগ্রিক উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে পড়েছে…এজন্য ওদের একটি আমব্রেলা টার্ম প্রয়োজন।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীনও মনে করেন, আদিবাসী বিষয়টিকে বাংলাদেশে যেভাবে দেখা হয়, অনুবাদ করা হয়…সেখানে প্রথম প্রশ্ন করা হয়, কে আগে এসেছে, কে পরে এসেছে? কিন্তু আদিবাসীর সংজ্ঞায় কে আগে এসেছে, কে পরে এসেছে, তার কোনও সম্পর্ক নাই।

    তবে আদিবাসীর সংজ্ঞায় ‘আগে-পরে আসার কোনও সম্পর্ক নেই’, এই বিষয়ের সাথে একমত নন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।

    তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, এই শব্দের সাথে প্রাচীনত্বের সম্পর্ক অবশ্যই আছে। আদিবাসী শব্দের একাডেমিক ভ্যালু আছে। একাডেমিক্যালি, কোনও স্থানের আদিমতম অধিবাসীরাই আদিবাসী।

    বাংলাদেশের পাহাড় ও সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে ‘আদিবাসী বলা যায় না’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এই দাবিকে এখন নিরীহ দাবী মনে হতে পারে, কিন্তু গভীরে গেলে নিরীহ থাকবে না।

    সাংবিধানিকভাবে আদিবাসী শব্দটি ব্যবহার করা হলে, বাংলাদেশের ওইসব এলাকার ভূরাজনীতির প্রেক্ষিতে “সেখানে সংকট তৈরি হতে পারে, তখন রাষ্ট্রীয় সংহতি বিপন্ন হতে পারে।

    ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি নিয়ে যে কারণে দোলাচল

    আদিবাসী ঘোষণাপত্রে ১২টি ক্ষেত্রে আদিবাসীদের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল জাতিসংঘ। যার মধ্যে ভূমি সংক্রান্ত অধিকারগুলোই ছিল মুখ্য। সে ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে:

    ভূমি ও ভূখণ্ডের অধিকার

    আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি ও ভূখণ্ডের উপর সামরিক কার্যক্রম বন্ধের অধিকার

    তাদের ভূমি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ প্রক্রিয়া থেকে রেহাই পাবার অধিকার

    তাদের সম্মতি ছাড়া যেসব ভূমি, ভূখণ্ড এবং সম্পদ ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে সেগুলো পুনরুদ্ধার ও ফেরত পাবার অধিকার

    বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের নেতা গজেন্দ্র নাথ মাহাতো আগেই বলেছেন, তারা আদিবাসী স্বীকৃতি চায় কারণ– প্রথমত তারা ‘আগে থেকেই’ আদিবাসী হিসাবেই পরিচিত ছিল।

    দ্বিতীয়ত, বিশ্বব্যাপী আদিবাসীদের কিছু সাংবিধানিক অধিকার আছে। তাই, এ দেশের আদিবাসীদেরকে নৃ-গোষ্ঠী বললে তারা সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। যেমন, গারোদের দলিলকৃত জায়গা কম। তাদেরকে সরিয়ে ইকো পার্ক করা, উচ্ছেদ করা, এগুলো চলে আসছে স্বাধীনতার পর থেকে। কিন্তু আদিবাসী হিসাবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকলে এগুলো করার পূর্বে সাংবিধানিক অধিকার অনুসরণ করতে হবে।

    সুতরাং, ওই ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করার অর্থ হচ্ছে, ওখানে যেসব বিষয় উল্লেখ করা আছে সেগুলো মেনে নেয়া এবং বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেয়া। এসব কারণেই বাংলাদেশ জাতিসংঘের ঘোষণায় স্বাক্ষর করেনি এবং ‘আদিবাসী’ শব্দটিও মেনে নেয়নি বলে অনেকে মনে করেন।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাসান এ শাফী বলেন, সরকারের সমস্যা হল, আদিবাসী শব্দের আক্ষরিক অর্থের জায়গা থেকে কাউকে যদি আদিবাসী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে দেওয়া হয় যে, সে এখানে আগে থেকে বসবাস করছে, তাহলে সেই জায়গার ওপর তার একটি দাবী তৈরি হয়ে যায়। বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু তারা সবাই-ই এটাকে স্বীকৃতি দেওয়ার বেলায় সন্দেহপ্রবণ– তাদের আশঙ্কা যে জমি নিয়ে সমস্যা হবে।

    তবে তিনি এও মনে করেন যে একটি গোষ্ঠী যদি নিজেদেরকে কোনও নামে বর্ণনা করতে চায়, তাহলে সেই অধিকার তাদের আছে। সেখানে দ্বিমত করার কোনও সুযোগ নাই।

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মিজানুর রহমানের এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন, কাউকে আদিবাসী বললে বাকিরা কী? বহিরাগত?

    ব্রিটিশ আমল বা আদিকাল থেকেই পাহাড়ি অঞ্চলে বাঙ্গালীদের বসবাস ছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন যে আদিবাসী হিসাবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিলে তখন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের একটি নৈতিক জায়গা তৈরি হবে যে আমরা আদিবাসী, এই ভূমি আমাদের, তোমরা এখান থেকে সরে যাও। তাছাড়া, সেখানে (পার্বত্য চট্টগ্রাম) স্বাধীনতার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

    বাংলাদেশ সরকার মনে করে সীমান্ত এলাকা হওয়ায় নিরাপত্তার দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অত্যন্ত স্পর্শকাতর। সে এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যাপক তৎপরতাও আছে। ফলে জাতিসংঘের ঘোষণায় স্বাক্ষর করে ‘আদিবাসীদের অধিকার’ মেনে নিলে সামরিক তৎপরতাও সেখান থেকে গুটিয়ে নিতে হবে।

    অধ্যাপক মিজানুর রহমান মনে করেন, এই সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের উচিৎ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের সাথে আলাপ-আলোচনা করতে বসা যে ওই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে তারা আসলে কী চায়।

    Motorola Edge G46: মোটোরোলার কমমূল্যের সেরা 5G স্মার্টফোন

    তবে ‘শব্দের মধ্য দিয়ে কাউকে গোত্রভুক্ত করার প্রয়োজন নাই’ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বরং, তাদের বৈধ অধিকার থাকলে সেটা যেন তাদেরকে দেওয়া হয়। যেমন, তাদের ভূমির অধিকার যেন সংরক্ষণ করা হয়। সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। তাদের শিক্ষা, বাসস্থান, কর্মসংস্থান, আর্থিক উন্নতি এগুলোর দিকে রাষ্ট্রের গুরুত্ব দেওয়া দরকার।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় আদিবাসী কেন নিয়ে, বারবার বিতর্ক শব্দটি
    Related Posts
    Motijhil

    রাজধানীর সেনা কল্যাণ ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট

    July 18, 2025
    Gopalganj

    জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ রাখার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

    July 18, 2025
    Asami

    মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার ৩ আসামির

    July 17, 2025
    সর্বশেষ খবর
    OC Transfer

    বিএনপি নেতাকে মালা পরানো সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে গোপালগঞ্জে বদলি

    BACHELOR-POINT-S-5

    ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নিয়ে বড় দু:সংবাদ পেল নির্মাতা-প্রযোজক

    NBFI

    জামানতের চেয়ে তিনগুণ বেশি ঋণ, ঝুঁকিতে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান

    grameen-phone

    অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দেবে গ্রামীণফোন

    Cinema

    সিনেমা মুক্তির এক বছর আগেই টিকিট বিক্রি শুরু

    Motijhil

    রাজধানীর সেনা কল্যাণ ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট

    Honor X6C

    দেশের বাজারে অনারের নতুন ফোন, জানুন দাম ও স্পেসিফিকেশন

    Banmgladesh Bank

    ৫ আগস্ট দেশের সব তফশিলি ব্যাংক বন্ধ রাখার নির্দেশনা

    Nahid speace

    গোপালগঞ্জে আ. লীগের হামলা আমাদের দ্বিগুণ শক্তিশালী করেছে: নাহিদ ইসলাম

    Nokia G42 5G

    Nokia G42 5G Redefines Budget Smartphones with Repairable Design, Sustainable Build, and 5G Power

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.