আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও নিষ্ঠুর স্বৈরশাসক অ্যাডলফ হিটলারঅনেক দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিলেন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছিলেন। হিটলারের স্বৈরশাসন এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে সমগ্র বিশ্বকে একে অপরের সাথে লড়াই করতে বাধ্য করেছিল। এই একই হিটলারের কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল।
এই প্রতিবেদনে হিটলারের সম্পর্কে এমনি একটি গোপন কথা বলা হয়েছে, যা শুনলে আপনিও অবাক হবেন।হিটলারের স্বৈরাচারীর ভয়ে সারা বিশ্ব অস্থির ছিল আর সেই কারণেই তাকে হত্যা করার অনেক চেষ্টা চালানো হতো। যদিও এটা সহজ কাজ ছিল না কারণ হিটলারের নাৎসি বাহিনী তার সুরক্ষার জন্য সর্বদা মোতায়েন ছিল।
শুধুমাত্র হিটলারকে খাবারে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলার একটা উপায় ছিল, কিন্তু এর জন্যও তারা একটা উপায় বের করেছিল। হিটলারের ঘনিষ্ঠ নারীদের প্রথমে তাদের পরিবেশিত খাবারের স্বাদ নিতে হতো। এর মানে যদি কোন খাবারে বিষ মেশানো থাকতো তাহলে সেই মহিলাটি সঙ্গে সঙ্গে মারা যেত এর ফলে হিটলারের জীবন বাঁচানো যেত।
প্রায় ১৫ জন নারীকে এই বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং তারা দিনে কয়েকবার এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করত। এই মহিলারা যখনই দিনের বেলায় হিটলারের খাবারের স্বাদ নিতেন, তারা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নিতেন। হিটলারের খাবারের তালিকা দীর্ঘ হওয়ায় বিভিন্ন দলের নারীরা ভিন্ন ভিন্ন খাবারের স্বাদ নিতেন।
৩ সেকেন্ডেই ৪০ কিলোমিটার, দেরি না করে এখনই বাড়িতে আনুন এই বাইক
এভাবে হিটলার তার জীবন বাঁচানোর জন্য আরো অনেক এমন পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন। এমনকি হিটলারের যে বাঙ্কার ছিল, তাতে আক্রমণ করেও কোনো ক্ষতিগ্রস্ত করা যায়নি। এছাড়া তার ছিল অনেক বড় নাৎসি বাহিনী, যা তাকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছিল। যাইহোক, প্রতিটা স্বৈরশাসকের মতোই শেষ পরিণতি হয়েছিল জার্মানির এই শাসকেরও। শেষ পর্যন্ত, হিটলারকে বিষ খেয়েই মৃত্যুবরণ করতে হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।