জুমবাংলা ডেস্ক : রেলের ঈদযাত্রার টিকেট বিক্রি শুরুর পাঁচ মিনিটেই পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সব টিকেট শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুরেও মিলেছে পূর্বাঞ্চলের টিকিট।
ঈদের বিক্রিযোগ্য আগাম টিকেট ছিলো ২৫ হাজার ৭৭৮টি। সেখানে প্রথম মিনিটেই অনলাইনে লগইনে ছিলেন ১২ লাখ মানুষ। তবে সার্ভার জটিলতার কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার থেকে শুরু হবে ঈদযাত্রার ট্রেনের আগাম টিকেট, এটা জানাই ছিলো সম্ভাব্য যাত্রীদের। কথা মতো নির্ধারিত সময়েই শুরু হয় রেলপথে ঈদের টিকেট।
কিন্তু আগাম টিকেটকে ঘিরে কমলাপুর স্টেশনে নেই ভোর রাত থেকে লাইনে দাঁড়ানো মানুষের উপচে পড়া ভিড় বা চিরচেনা ভোগান্তি। কারণ এবার শতভাগ টিকিট দেয়া হচ্ছে অনলাইনে।
শুক্রবার টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথম মিনিটেই প্রায় ২৫ হাজার ৭৭৮টি টিকিট কিনতে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে এবং ‘রেল সেবা’ অ্যাপে প্রবেশ করেন ১২ লাখ মানুষ।
মিনিটে একযোগে আট হাজার টিকিট দিতে সক্ষম এই ওয়েবসাইট থেকে প্রথম পাঁচ মিনিটেই পশ্চিমাঞ্চলের ১২ হাজার ২২৩টি টিকিটের প্রায় সবই শেষ হয়ে যায়।
কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, টিকেট বিক্রি শুরুর মুহূর্তের মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে উত্তরবঙ্গগামীসহ অধিক চাহিদা রয়েছে, এমন সব রুটের।
সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে রেলসেবা অ্যাপে ঢুকে দেখা যায় চিত্রা এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস, রাজশাহীর পদ্মা এক্সপ্রেস এবং কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের প্রায় শতভাগ টিকিট শেষ।
একই চিত্র দেখা গেছে ঢাকা থেকে রংপুরগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ও লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রেও। সচল ছিলো চাহিদা কম থাকা রুটের টিকেট বিক্রি।
তবে মিলেছে চট্টগ্রামের মহানগর ও তূর্ণা এক্সপ্রেসের টিকিট। পাঁচ মিনিট পর জামালপুর ও সিরাজগঞ্জের টিকেট দেখতে গেলে অ্যাপে তৈরি হয় দীর্ঘসূত্রিতা।
টিকেট বিক্রিতে সহায়তার জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনে ছিলো হেল্প ডেস্ক। কিন্তু জটিলতায় পড়ে রিক্সাচালক বিল্লাল বা বাসাবাড়িতে কাজ করা আঞ্জুর মত বাটন ফোন ব্যবহারকারীরা।
স্টেশন ম্যানেজার জানান, কারও অনলাইন নিবন্ধন থাকলে উপায় কেবল স্ট্যান্ডিং টিকেটে বা কমিউটার ট্রেন। প্রতিদিনের টিকেট শেষ হলে প্রকাশ করা হবে যাত্রী তালিকা।
প্রথম দিনের ট্রেনে আগাম টিকেট বিক্রির প্রথম দিনে তেমন কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন রেলের বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মকর্তারা।
একই কথা জানিয়েছে, রেলের টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা সহজ ডট কম। বলেছেন, শুরু থেকে তাদের সার্ভার যথেষ্ট অ্যাকটিভ ছিলো। কোনও ধরনের অভিযোগ আসেনি।
এদিকে, টিকিট পেয়ে অনেকে সামজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন সন্তুষ্টির কথা। আর যারা পাননি তারাও ক্ষোভের কথা জানাতে ভুল করেননি।
প্রথম দিন বিক্রি হয়েছে ১৭ এপ্রিলের টিকেট। শনিবারের মিলবে ১৮ এপ্রিলের টিকিট। এভাবে ১১ তারিখে বিক্রি হবে ২১ এপ্রিলের ঈদযাত্রার টিকিট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।