আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের তারকা সাংসদ নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে। তাই নিয়ে গতকাল তিনি প্রেসক্লাবে ‘সাফাই’ দিতে এসেছিলেন। তবে কোনও প্রশ্নের জবাব তিনি দেননি।
এই আবহে দলীয় সাংসদের আচরণ নিয়ে মুখ খুললেন মদন মিত্র। তিনি নিজেও দুর্নীতির মামলায় জেল খেটেছেন। গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে নুসরাত দাবি করেন, তিনি ঋণ নিয়েছিলেন, পরে তা শোধও করেছেন।
পাশাপাশি এই ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘দয়া করে এই ঘটনাতে রাজনৈতির রঙ চড়াবেন না। কারণ এটার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’ নুসরাতের দাবি, যে সংস্থা ঘিরে তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে, সেই সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে তিনি সম্পত্তি কেনেন, আর তার ঋণ, তিনি সুদ সমেত ফিরিয়েও দেন।
তবে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের জবাব নুসরাত দেননি। তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ২০১৪ সালে ‘তার সংস্থা’ সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নিয়েছিল ৩ বিএইচকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে।
যদিও প্রায় ৯ বছর কেটে যাওয়ার পর আজও ফ্ল্যাট পাওয়া যায়নি। সেই সময় সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার দাবি করেছিল, রাজারহাট হিডকোর কাছে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে এই ৪২৯ জনকে। তিন বছরের মধ্যেই ফ্ল্যাটগুলি হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। মোট ২৪ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
এই আবহে নুসরাতের বক্তব্য, বাড়ি কিনতে সংস্থা থেকে ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। তবে ২০১৭ সালের পর থেকে সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে তিনি সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন বলে দাবি করেন নুসরাত।
নুসরাত বলেন, ‘যে কোম্পানির নামে অভিযোগ উঠেছে আর্থিক দুর্নীতির, তার সঙ্গে নাকি আমি জড়িত। সেই কোম্পানি আমি ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ছেড়ে দিয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আমার বাড়ি দুর্নীতির টাকায় কেনা। এই উত্তরে আমি বলব, এই কোম্পানি থেকে আমি একটি ঋণ নিয়েছিলাম।’
এদিকে নুসরাত ফাইলে করে অনেক নথি নিয়ে গতকাল এসেছিলেন প্রেস ক্লাবে। যদিও সেগুলি তিনি দেখাননি। নিজের বক্তব্য রাখার পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব না দিয়েই তিনি উঠে পড়েন। তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা সাংসদের এমন আচরণ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন দলেরই ‘কালারফুল’ বিধায়ক মদন মিত্র।
মদন বলেন, ‘কোনও অভিযোগ উঠলে আয়নার মতো সামনে দাঁড়িয়ে তার মুখোমুখি হতে হয়। আমি যদি প্রশ্ন এড়িয়ে যাই, তাহলে মানুষের মনে তত এই প্রশ্নটা থাকবে যে কেন প্রশ্নটা এড়িয়ে গেলাম। যদি নুসরাতের জায়গায় আমি হতাম, তাহলে শেষ প্রশ্ন পর্যন্ত উত্তর দিয়েই উঠতাম। কারণ উত্তরটা না দিয়ে গেলে প্রশ্নটা প্রশ্নই থেকে যায়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।