আফগানিস্তানে নারীদের জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে তালেবানের কর্মকর্তারা। দেশটির সবচেয়ে প্রগতিশীল শহর হেরাতে নারীদের গাড়ি চালানোর লাইসেন্স না দিতে ড্রাইভিং প্রশিক্ষকদের নির্দেশ দিয়েছেন ।
মঙ্গলবার (৩ মে) ড্রাইভিং খাতের পেশাজীবীরা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে তালেবানের এই নির্দেশের তথ্য জানিয়েছেন।
হেরাতের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের প্রধান জান আগা আচাকজাই বলেছেন, নারী গাড়িচালকদের লাইসেন্স দেয়া বন্ধ করতে আমাদের মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে শহরে নারীদের গাড়ি চালানো বন্ধ করতে বলা হয়নি।
আদিলা বলেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম মায়েদের মতো একই সুযোগ পাবে না, তা নিশ্চিত করতে চায় তালেবান। আমাদের ড্রাইভিং শিক্ষা না দিতে ও লাইসেন্স ইস্যু না করতে বলা হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। ১৯৯৬-২০০১ সালের তুলনায় তালেবানের এবারের শাসনামলে বেশি উদারতা দেখানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা। তবে সেটি হয়নি। আফগানদের অধিকারে একের পর এক খড়গ বসায় তালেবান, বিশেষ করে নারী ও মেয়েদের বিষয়ে।
পরিবারের জন্য ঈদ উপহার কিনতে গাড়ি চালিয়ে স্থানীয় বাজারে যাচ্ছিলেন শাইমা ওয়াফা নামে এক নারী। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে তালেবানের এক রক্ষীকে বলেছিলাম, ট্যাক্সি ড্রাইভারের পাশে বসার চেয়ে নিজে গাড়ি চালানো আমার পক্ষে বেশি স্বস্তিদায়ক। ভাই বা স্বামী কখন বাড়িতে আসবে, তার জন্য অপেক্ষা না করে পরিবারকে আমার গাড়িতে বসিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সক্ষমতাটা জরুরি।
অবশ্য প্রাদেশিক তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান নাইম আল-হক হাক্কানি বলেছেন, নারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া বন্ধে আনুষ্ঠানিক কোনো আদেশ দেয়া হয়নি।
তবে তালেবান সাধারণত জাতীয়ভাবে লিখিত আদেশ দেয়ার বদলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে আদেশ জারির সুযোগ দেয়, তা কখনো কখনো মৌখিক আদেশও হয়ে থাকে।
আফগানিস্তানের রাস্তায় বহু বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছেন ফেরেশতেহ ইয়াকুবি। তিনি বলেন, কোনো গাড়িতে লেখা নেই যে, এটি শুধু পুরুষদের। মূলত গাড়ি চালানো নারীই তুলনামূলক বেশি নিরাপদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।