কাবুল সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক এবং বাণিজ্যের সম্প্রসারণের ভিত্তিতে ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় বলে জানিয়েছেন ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এ ছাড়া সাম্প্রতিক উত্তেজনায় ভারতের কথিত ভূমিকার অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন তিনি। আফগান সংবাদমাধ্যম টোলোনিউজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মৌলভি মোহাম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ বলেন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা কোনো পক্ষের জন্যই লাভজনক নয়।
তিনি আলোচনার মাধ্যমেই চ্যালেঞ্জগুলো সমাধানে কাবুলের আগ্রহের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান ও পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশ। তাদের মধ্যে উত্তেজনা কারো কাজে আসে না। তাদের সম্পর্ক অবশ্যই পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সুপ্রতিবেশীসুলভ নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত।’
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনায় ভারতের কথিত ভূমিকা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন।
তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। আমাদের নীতি কখনই আমাদের ভূমিকে অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করাকে সমর্থন করে না। আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখি এবং আমাদের জাতীয় স্বার্থের কাঠামোর মধ্যে সেই সম্পর্ককে আরো জোরদার করব।
একই সঙ্গে, আমরা সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের ভিত্তিতে পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সংরক্ষণ করব। আমাদের লক্ষ্য হলো সম্পর্ক বৃদ্ধি করা, উত্তেজনা তৈরি করা নয়। পাকিস্তানের অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন, অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য।’
মুজাহিদ জোর দিয়ে আরো বলেন, যদি কোনো দেশ আফগানিস্তানকে আক্রমণ করে, তবে তারা ‘সাহসের সঙ্গে’ তাদের ভূমি রক্ষা করবে। তিনি উল্লেখ করেন, আফগানদের তাদের মাতৃভূমি রক্ষার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত দোহা চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তুরস্কে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন বৈঠকে চুক্তিটি বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, চুক্তির শর্তাবলি সম্পূর্ণরূপে মেনে চলতে কাবুল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সতর্ক করে বলেন, ‘যদি পাকিস্তান তাদের বাধ্যবাধকতা পূরণ না করে, তবে তা সমস্যার সৃষ্টি করবে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তনসহ অন্য দেশের বিরুদ্ধে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন না করাই ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানের নীতি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।