বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : পৃথিবীর খোলা হাওয়ায় শ্বাস নেওয়া। পৃথিবীর মাটিতে হাঁটা। গাছপালা, বাড়িঘর, গাড়িঘোড়া দেখতে পাওয়া যে কতটা সুখের হয় তা যাঁরা দীর্ঘদিন পান না তাঁরাই বোঝেন। তা কম দিন নয়। ১৯৭ দিন পৃথিবীতে থাকার অনুভূতিটা হারিয়ে গিয়েছিল তাঁদের জীবন থেকে।
ভেসে বেড়ানো, বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা, ভেসে ভেসে খাওয়া আর প্রয়োজনে বিশ্রাম। এই ছিল জীবন। পরনে অবশ্য সাধারণ পোশাক থাকত। যদিও সে অভিজ্ঞতাও এ পৃথিবীর হাতেগোনা কয়েকজনেরই হয়।
সেই সৌভাগ্যবানদের দলে পড়েন এই ৪ জন। নাসার জেসমিন মোঘবেলি, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির আন্দ্রেয়াস মোগেনসেন, জাপানের জাক্সা-র সাতোশি ফুরুকাওয়া এবং রাশিয়ার রসকসমস-এর কনস্টানটিন বোরিসভ। এই ৪ নভশ্চর গত বছরের ২৬ অগাস্ট পাড়ি দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে।
তারপর সেখানে মহাকাশে পাড়ি দিলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর তার প্রভাব, স্পেস স্টেশনে ফসল ফলানো এবং নিকাশি জল থেকে দূষণ ছেঁটে ফেলার ওপর গবেষণা চালিয়ে গেছেন দিনের পর দিন।
১৯৭ দিন এই ৩ প্রকার গবেষণা সেরে তাঁরা এবার ফিরলেন পৃথিবীতে। স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে চেপে তাঁরা ফিরে আসেন। সফলভাবেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে পৃথিবীর মাটি ছুঁয়েছেন তাঁরা।
ফ্লোরিডার পেনসাকোলা উপকূলে তাঁরা সফলভাবে অবতরণ করেন। ৪ নভশ্চরই সুস্থ আছেন। তাঁদের সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা এক্স হ্যান্ডলে জানায় স্পেসএক্স। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।