মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক গৃহবধূ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গত এক যুগে ৩৯টি মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সর্বশেষ ওই গৃহবধূর ছেলেকে বেধরক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
ভুক্তভোগী নারীর নাম সাবিহা। তিনি সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইমামনগর গ্রামের আব্দুল লতিফ ভেন্দুর স্ত্রী।
আর অভিযুক্তরা হলেন- একই গ্রামের হায়াত আলীর ছেলে বুলবুল, সোবহান, মৃত ফজলের ছেলে মো. ফারুক হোসেন এবং মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে শরীফ।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ মে সন্ধ্যায় বিবাদীরা তার বাড়িতে এসে দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। দরজা না খোলায় তারা বাইরে থেকেই প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এর পরদিন ২০ মে রাতে তার ছেলে সাইদুর ধামরাই উপজেলার বারোবারিয়াস্থ আকিজ ফুড ফ্যাক্টরিতে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে হামলার শিকার হন। বিবাদীরা ৭/৮ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী পাঠিয়ে আমার ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে। তার মোবাইল ভেঙে ফেলে এবং স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সাথে থাকা সাড়ে ৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে ফ্যাক্টরির লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠায়।
ভুক্তভোগী সাবিহা জানান, বিবাদীরা অনেক প্রভাবশালী। তারা আমার ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একে একে ৩৯টি মামলা দায়ের করেছেন। গত ১৯ মে সন্ধ্যায় বিবাদীরা তার বাড়িতে এসে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। সেই সাথে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তারপরের দিনই আমার ছেলেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে বেধম মারধর করে। তার মোবাইল ভেঙে ফেলে ও সাড়ে ৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
তিনি আরো বলেন, সাইদুরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সেদিন রাতেই মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করাই। তিনদিন পর তাকে বাড়িতে আনলেও ছেলে আমার এখও অসুস্থ। ছেলেকে হামলার পরে আমার স্বামী আব্দুল লতিফকে মোটরসাইকেল দিয়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ।
মারধরের শিকার সাইদুর বলেন, আমি কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ৭/৮ জন আমাকে ঘিরে ধরে। এদের মধ্যে একজনকে আমি চিনতে পেরেছি তার নাম রাব্বি। তারা আমাকে এলোপাথাড়ি ভাবে বেধড়ক মারধর করে। তিন দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর আমার অবস্থা এখনো ভালো হয়নি। এই ঘটনার জন্য আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে বুলবুল ও সোবহানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।