স্পোর্টস ডেস্ক : সময়টা ১৯৮৪ সাল। জিল হর্সটেড নামে ১৭ বয়সী এক কিশোরী কানাডার হয়ে খেলতে এসেছিলেন অলিম্পিকে। লস অ্যাঞ্জেলসের সেই আসরে সাঁতার ইভেন্টের ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে নিজ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করলেও কোনো পদক পাননি। নবম হয়েই শেষ করতে হয়েছিল অলিম্পিক যাত্রা। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত প্রতিযোগিতায় পদক জয়ের স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায় জিলের। আর কালে বিবর্তনে হারিয়ে যায় তার নামটিও।
যে স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি জিল, ৪০ বছর পর সেই অপূর্ণতা পূরণ করলেন তার মেয়ে। কাকতালীয়ভাবে মেয়ের বয়সটাও এখন ১৭। মা যেখানে নবম হয়েছিলেন, মেয়ে সেখানে জিতেছেন স্বর্ণ পদক। আর সেই কিশোরী মেয়েটির নাম সামার ম্যাকিনটোশ। আর এজন্যই তাকে দ্বিতীয় প্রজন্মের অলিম্পিয়ান হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন অনেকে।
নিজের অপূর্ণতা মেয়ে পূরণ করার পর উল্লাসে মেতে উঠেন মা জিল। দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন মেয়েকে। আর পদক জয়ের পর মেয়ে সামার তার মা জিল সম্পর্কে বলেন, ‘২০০ মিটার বাটারফ্লাই ইভেন্টে স্বর্ণ জিততে পারা আমার জন্য দুর্দান্ত একটা অর্জন। কারণ এই ইভেন্টে আমার মাও অংশ নিয়েছিলেন। তাই তার সঙ্গে আনন্দের মুহূর্তটা ভাগাভাগি করে নিয়েছি। অসাধারণ একটা মুহূর্ত। আমি জানি, আমরা পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে তিনিও আমাকে নিয়ে গর্বিত। আমি তাদের ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করতে পারব না।’
প্যারিসে অলিম্পিকে নারীদের ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ের ফাইনালে অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন সামার। তার সময় লেগেছ মাত্র ২ মিনিট ৩.৩ সেকেন্ড। প্রতিযোগিতায় যা তার দ্বিতীয় স্বর্ণ পদক জয়। সব মিলিয়ে নিজের তৃতীয় পদক জিতলেন তিনি।
রেকর্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য ছিল। যা নিয়ে আমি অনেক খুশি। এটা আবার রিপ্লে দেখব। আমি মনে করি ফিনিশিং কিছুটা অদ্ভুত ছিল। তবে আমি কখনেই সেরা সময় নিয়ে খুব একটা চিন্তা করিনি, বিশেষত সাঁতার চলাকালে।’
সামারের ইতিহাসের এটাই একমাত্র বিট ছিল না। তিনি প্রথম কানাডিয়ান নারী যিনি অলিম্পিক গ্রীষ্মকালীন গেমসের একটি সংস্করণে ব্যক্তিগত ইভেন্টে দুটি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। সপ্তাহের শুরুতে মেয়েদের ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মেডলিতে আধিপত্য বিস্তার করে সোনা জিতেছিলেন সামার। ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে রুপোও জিতেছিলেন তিনি।
ম্যাকিনটোস ১৯৮৪ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে অ্যালেক্স বাউম্যানের পর প্রথম কানাডিয়ান সাঁতারু হয়েছিলেন – এবং সর্বকালের তৃতীয় কানাডিয়ান সাঁতারু, যার একটি অলিম্পিক গেমসে দুটি স্বর্ণপদক পদক আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।