আগে ঘুস লাগতো ১ লাখ এখন ৪ লাখ, এমনই এক দাবি করলেন মডেল ও অভিনেত্রী নায়লা নাঈম। দেশের সামাজিক অব্যবস্থা, ঘুস বাণিজ্য এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে ফেসবুকে খোলামেলা স্ট্যাটাস দিয়ে আবারও আলোচনায় এসেছেন তিনি। তার সেই স্ট্যাটাসে উঠে এসেছে পরিবারের জমি রেজিস্ট্রেশনের অভিজ্ঞতা, ঘুসপ্রথা, সরকারের করনীতির তীব্র সমালোচনা।
স্ট্যাটাসে নায়লা জানান, তার একমাত্র ভাই প্রায় ছয় বছর ধরে জার্মানিতে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন। সেখান থেকে নিয়মিত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা পাঠিয়ে আসছেন তিনি। সেই টাকা সঞ্চয় করে তার বাবা-মা সম্প্রতি একটি জমি কিনেছেন। কিন্তু জমি রেজিস্ট্রেশনের দিন সরকারি খরচ ছাড়াও ‘নানান অজুহাতে’ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে একটি ‘বিশাল অংকের’ ঘুস দিতে হয়েছে তাদের।
তিনি লিখেছেন, ‘আব্বা আম্মা সেই টাকা জমিয়ে একটা জমিও রাখলেন। খুবই ভালো কথা তারা জমি রেখেছেন। কারবারটা হলো জমি রেজিস্ট্রেশনের দিন যখন গেলাম সরকারি পে-অর্ডারের খরচ ব্যতীত রেজিস্টার বিশাল অংকের একটা টাকা নানান অজুহাতে বের করে নিলেন আমার পিতা-মাতার কাছ থেকে। তারাও নীরবে দিয়ে গেলেন। কেননা এটা নাকি দিতেই হয়। হুম… সেটা আমি জানি দিতে হয়। ‘ঘুস’ বলে এটাকে।’
সরকার পরিবর্তনের পরও সাধারণ মানুষের দুর্দশার কোনো পরিবর্তন হয়নি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘একটা অভ্যুত্থান হলো। সরকার পতন হলো। নতুন সরকার আসলো। আম জনতা কি পেল? আগে যে রেজিস্ট্রেশন করতে কথার কথা ১ লাখ টাকা লাগতো সেটা এখন লাগে ৪ লাখ। কেননা প্রতি শতাংশে বিশাল একটা চার্জ বসিয়েছে সরকার ট্যাক্স হিসেবে। আগে রেজিস্টার ঘুষ খাইতো। এখনো খায়। রাস্তাঘাটে হাঁটতে গেলে তো চায়ের দোকানের সাথে উষ্ঠা খেতে খেতে জান যায় যায় অবস্থা। রেজিস্ট্রেশন শেষ করে ভাইকে একটা মেসেজ দিলাম। ভাই আর যাই করো, বিদেশের মাটি কামড়ে থাকো।
বিড়াল ‘মিয়াও’ করে ডাকে কেন? এই শব্দের অর্থ জানলে অবাক হবেন
তিন বাচ্চাসহ ডিভোর্সে ফরেনার মহিলাকে বিয়া করো। অনুরোধ একটাই দেশে আর ফিরবা না। তোমার পায়ে ধরি। তাকে সুপরামর্শ দিলাম না কুপরামর্শ দিলাম? আপনারাই বলুন?’
নায়লা নাঈমের পোস্টের নিচে মন্তব্যের ঘরে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।