আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। বাংলাদেশ কংগ্রেস নামের একটি দলের পক্ষে বুধবার রিটটি করেন দলের মহাসচিব আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম।

বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারি।
রিট আবেদনে নির্বাহী বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশনের সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা এবং ইলেকটোরাল সার্ভিস কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, সরকারের নির্বাহী বিভাগের জনবল দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও নির্বাচন পরিচালনা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিচার বিভাগের মতো স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনেরও নিজস্ব লোকবল থাকতে হবে। পাশাপাশি রিটে ‘ইলেকটোরাল সার্ভিস কমিশন’ গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটে রুল জারির পাশাপাশি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
পরে আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে সব প্রকার সহযোগিতা দেবে। কিন্তু সংবিধান লঙ্ঘন করে প্রতিটি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগকে দেওয়া হয়। নির্বাহী বিভাগ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারের চাহিদা মোতাবেক নির্বাচন পরিচালনা করে। ফলে নির্বাচন নিয়ে নানামুখী বিতর্ক তৈরি হয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে নির্বাহী বিভাগ তাদের আস্থা, গ্রহণযোগ্যতা ও দায়িত্ববোধ হারিয়ে ফেলেছে। তাদের দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে-এটা কেউ বিশ্বাস করে না। এই অবস্থায় ইসির নিজস্ব লোকবল থেকে সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



