জুমবাংলা ডেস্ক : গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আগে রাষ্ট্র সংস্কার ও জনআকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করতে হবে, পরে নির্বাচনের কথা ভাবতে হবে।
রবিবার বিকেলে পটুয়াখালী শহরের নতুন বাজার এলাকায় গণ অধিকার পরিষদ পটুয়াখালী জেলা শাখা আয়োজিত জুলাই বিপ্লব ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনআকাঙ্ক্ষার রাজনীতি শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, এই যে ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, সেই গণঅভ্যুত্থান কোনো রাজনৈতিক দলের ডাকে হয় নাই, কোনো রাজনৈতিক নেতার নেতৃত্বে হয় নাই। ছাত্র আন্দোলনের মাধমে এই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই জুলাই বিপ্লব আজকের যে আলোচনার শিরোনাম, জুলাই বিপ্লব এবং জনআকাঙ্ক্ষা, আমি মনে করি এই যে জনআকাঙ্ক্ষা, জনআকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই কিন্তু এই গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে এই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ৫০ বছরে ২০২১ সালে এসে গণ অধিকার পরিষদ এই ব্রত নিয়ে দল ঘোষণা করেছে। আজকে জুলাই বিপ্লব আপনারা সকলেই জানেন ২০১৮ সালে এই কোটা সংস্কার আন্দোলন আমরা শুরু করেছিলাম, সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদের অবস্থান এবং আজকের পরিস্থিতি।
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে নুরুল হক নুর বলেন, অভিনন্দন জানাই আমাদের এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের যে সব পরিবার গণ অধিকার পরিষদে যোগ দিয়েছেন তাদের। আপনারা পরিষ্কার জানেন যে, গণ অধিকার পরিষদের যে স্লোগান, গণ অধিকার পরিষদের যে মূলনীতি। গণ অধিকার পরিষদের চারটি মূলনীতি তার এক-গণতন্ত্র, দুই-ন্যায়বিচার, তিন-অধিকার ও চার-জাতীয় স্বার্থ।
তিনি আরও বলেন, সকলেই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায়। কিন্তু গত ৫৩ বছরেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি। যার কারণেই আমরা বলেছি যে, আমরা রাজনৈতিক দল থেকে গণতান্ত্রিক চর্চা শুরু করেই আমরা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দান করতে চাই। যে কারণেই আমরা গণতন্ত্রকে এক নম্বরের মূলনীতি হিসেব গ্রহণ করেছি। আমরা সমাজের সর্বস্তরে ন্যায়বিচার ইনসাফ কায়েম করতে চাই, এ জন্যই আমরা দুই নম্বরে ন্যায়বিচার গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, এই দেশে ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান হলেও এখানে অন্যান্য সম্প্রদায়েরও মানুষ রয়েছে। রাষ্ট্র হিসেবে সকল নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করা তাদের সুরক্ষা দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। পাহাড় থেকে সমতল, ধর্ম-বর্ণ, মত-পথ নির্বিশেষে সকলের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করবে গণ অধিকার পরিষদ। যে কারণেই তিন নম্বর মূলনীতি হিসেবে আমরা অধিকারকে মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছি। চার নম্বর হচ্ছে জাতীয় স্বার্থ, পরিষ্কারভাবেই আমরা বলেছি বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে, সম্মানের ভিত্তিতে, গোলামের ভিত্তিতে নয়। সে কারণেই জাতীয় স্বার্থকে আমরা চার নম্বর মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছি।
গণ অধিকার পরিষদ পটুয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম লিটুর সভাপতিত্বে সভায় কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা, ইউনিট নেতৃবৃন্দ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় শহরের শতাধিক সনাতনী পরিবার নুরুল হক নুরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে গণ অধিকার পরিষদে যোগ দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।