বিনোদন ডেস্ক : জিয়াউল হক পলাশের ইচ্ছে ছিল নির্মাতা হওয়ার। কিন্তু ভাগ্য তাকে বানিয়েছে অভিনেতা! কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটক তিনি কাবিলা নামে সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছেন। তবে নির্মাণ ছাড়েননি পলাশ। সুযোগ পেলেই নাটক, মিউজিক ভিডিও, টিভিসি বানান।
সেই ধারাবাহিকতায় শিগগির একটি কোমল পানীয় পণ্যের ওয়ার্লকাপ থিম সংয়ের ভিডিও বানাতে যাচ্ছেন পলাশ। চলতি মাসে ‘অসময়’ নামে একটি ফিল্মে কাজও করবেন। তবে পলাশের শুভাকাঙ্ক্ষীরা জানতে চান, এতো জনপ্রিয় হওয়ার পর তুলনামূলক কম কাজ কেন করেন?
কেনই বা তাকে ঘুরে ফিরে অমির কাজগুলো দেখা যায় তাকে? এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে পলাশ বললেন, অমি ভাইয়ের বাইরে আমি কাজ করিনা, এটা একদম ভুল। ব্যতিক্রমী চরিত্র পেয়েছি বলে আদদান আল রাজীবের পরিচালনায় ইউটিউমার, শঙ্খ দাসের পরিচালনায় ‘বলি’ ওয়েব সিরিজে কাজ করেছি।
“আগামীতে অনম বিশ্বাসসহ আরও কয়েকজন নির্মাতার সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। আসলে আমাকে ব্যতিক্রমী চরিত্র দিলে সেই কাজটি আমি করি। যখন আমাকে কেউ অমি ভাইয়ের কাজের মতো একই চরিত্রে চান, সেই কাজগুলো আমি করি না। কারণ, আমি সেই সব চরিত্রে নতুনত্ব পাই না। আমি মনে করি, একটানা ২০-৩০টি নাটক করার প্রয়োজন আমার নেই। তাই যেটা আমার মন মতো হয়, ভিন্নতা খুঁজে পাই সেই কাজগুলো আমি করি।”
পলাশ চাইলেই মাসের প্রতিদিন শুটিং করে কাড়ি কাড়ি টাকা রোজগার করতে পারেন। এতে করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন! কিন্তু আর্থিক লাভবানের এই বিষয়টি একেবারেই কেয়ার করেন না পলাশ। বললেন, হ্যাঁ আমি এই চিন্তা করলে টাকা কামাতে পারবো, কিন্তু টিকে থাকা যাবে না।
পলাশের ভাষ্য, অনেকেই আমাকে বলে এখন আমার সময়, আমি যেন বেশি টাকা কামিয়ে ক্যাশ করে নেই! কিন্তু আমি মনে করি এটা ফালতু কনসেপ্ট। হিসেব করতে হবে পাঁচ বছরের জন্য নয়, যেন কুড়ি বছর রোল করা যায়! লম্বা সময় রোল করতে গেলে চুজি হতে হবে, বুঝে শুনে আগাতে হবে। টাকা তো ব্যবসা করেও কামানো যায়। কিন্তু আসল বিষয় হচ্ছে, যে কাজটি করবো সেটা নিয়ে মানুষ কথা বলে এবং নিজের সন্তুষ্টি আসে।
গেল মাসের শেষে তাবলীগ জামাতে গিয়েছিলেন পলাশ। তিনি জানান, নিয়ত ছিল সন্তানের পিতা হওয়ার পর যাবেন। বললেন, আল্লাহ আমাকে কবুল করছেন, এজন্য যেতে পেরেছি। আমি শুকরিয়া জানাই।
পলাশের তাবলীগে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তার বেশীরভাগ অনুসারীরা সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেক সময় দু-চারজন পলাশকে নিয়ে সমালোচনা করেছেন। এসব তিনি থোড়াই কেয়ার করেন! পলাশ বললেন, নেতিবাচক জিনিস আমি দেখি না। সারাদিনে হয়তো ত্রিশ মিনিট ফেসবুকে থাকি। যখন মানুষের কাছে যাই তারা কাজের প্রশংসা করেন, সেগুলো গ্রহণ করি। নেতিবাচক মন্তব্য করা মানুষের সংখ্যা সীমিত, ভালোবাসা পাই বেশি।
কথায় কথায় পলাশ আরও বলেন, আমি নোয়াখালীর সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। পরিবারে তাবলীগের ট্রাডিশন আছে। সুযোগ পেলে আমি নিজের মতো করে যাই। রিসেন্টলি ভিডিও ছড়িয়েছে সেটা হয়তো স্থানীয় কেউ ভিডিও করে প্রকাশ করেছে। আমি এবার যেখানে ছিলাম সেই এলাকায় মানুষজন ভোরে নামাজের পরেও দেখি মসজিদের সামনে ভিড় করেছেন। এই প্রাপ্তি আসলে একজন মানুষ হিসেবে শান্তির। এতে করে আমি আরও অনুপ্রেরণা পেয়েছি। এজন্য ঠিক করেছি আমার ডাকবাক্স ফাউন্ডেশনের শতাধিক ভলেন্টিয়ার থেকে প্রতিমাসে পাঁচজনকে নিজে তাবলীগে পাঠাবো।
গেল জুলাইতে পুত্র সন্তানের পিতা হয়েছেন পলাশ। সন্তানের সঙ্গে দিন কেমন কাটাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সন্তান আসলে বাবা মায়ের জন্য আশীর্বাদ। আমার সন্তান আসার পর চিরাচরিত পলাশের ডেইলি রুটিন পরিবর্তন হয়ে গেছে। তাকে ঘিরে আমার সবকিছু প্ল্যান করতে হয়। আগে তার সঙ্গে সময় কাটাই পরে কাজের প্ল্যানগুলো করি। সবাই কাছে চাইবো, আমার ছেলের যেন দোয়া করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।