লাইফস্টাইল ডেস্ক : মা-বাবা নিজের সন্তানকে নিজের সবটুকু দিয়ে বড় করেন। তারা চান নিজেরা কষ্ট করে হলেও সন্তানের ভবিষ্যৎ যাতে উজ্জ্বল হয়। তবে শুধু মা-বাবার চেষ্টাতেই নয় সঙ্গে থাকা চাই সন্তানের বুদ্ধিমত্তাও। সব মা-বাবাই নিজের সন্তানকে বুদ্ধিমান দেখতে চান।
তবে বুদ্ধিমান সন্তান কারা, সে সম্পর্কে বাবা-মায়ের স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। কারণ আপনার সন্তান যদি জিনিয়াস হয়, তবে ছোটবেলা থেকেই বিভিন্নভাবে তার প্রকাশ ঘটবে। সন্তান জিনিয়াস না হলেও মন খারাপ করার কিছু নেই। কারণ সব শিশুই নিজের মতো করে অসাধারণ। জেনে রাখুন কোন কোন লক্ষণে বুঝবেন আপনার সন্তান আর পাঁচজনের থেকে অনেকটাই আলাদা।
কথাবার্তা ও আবেগপ্রবণতা
সন্তান যদি গল্প শোনার সময় শব্দ ও বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়, ১৪ মাসে বাক্য তৈরি করতে শিখে যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার সন্তানের মধ্যে প্রতিভা রয়েছে। কিছু কিছু বাচ্চা আবার অভিভাবকদের মৌখিক নির্দেশ সহজে পালন করতে বা বুঝতে পারে।
বুদ্ধিমান বাচ্চাদের মধ্যে প্রবল আবেগপ্রবণতা থাকে। এরা ইতিবাচক ও নেতিবাচক ধারণা অনুভব করতে পারে। এমন বাচ্চাদের উৎসাহিত করা উচিত, বোঝান যে তাদের চিন্তাভাবনা সাধারণের থেকে আলাদা। তবে সে যে দারুণ একটা কিছু এই ধারণা ছোটবেলা থেকেই তার মাথায় ঢুকিয়ে না দেওয়াই ভালো।
সতর্কতা ও সার্বিক বিকাশ
নবজাতক শিশুর অধিকাংশ সময় তার আশপাশের লোকেদের দেখতে দেখতে কেটে যায়। তবে জিনিয়াস সন্তানরা অভিভাবকদের সঙ্গে আই কনট্যাক্ট করে, মাথা এদিক ওদিক ঘোরায়, শব্দ করে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। পরিবেশে যেকোনো পরিবর্তন হলেই তারা সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। এটি উচ্চস্তরের পারসেপশানের সংকেত।
অন্যান্য শিশুদের থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকে জিনিয়াস বাচ্চারা। অন্য সমবয়সি বাচ্চাদের তুলনায় নিজের সার্বিক বিকাশের স্তরটি আগে পেরিয়ে যায় এই বাচ্চারা। সময়ের আগে বসতে, হাঁটতে, বলতে, ধরতে বা কিছু তুলতে শিখে গেলে বুঝতে হবে যে অন্যান্যদের তুলনায় আপনার সন্তান এগিয়ে রয়েছে।
একা থাকতে ভালোবাসা ও জেদ
খেলনার সঙ্গে খেলা, রঙ করা, পাজল সল্ভ করতে ভালোবাসলে নিজের চেয়ে বয়সে বড় বাচ্চাদের সঙ্গে থাকতে চাইলে সেই শিশুও প্রতিভাবান। আশপাশের চরম বুদ্ধিমত্তা ও আবেগ অর্জন করতে চায় বলে তারা একা একা এই সমস্ত কিছুই করে যায়। এই শিশুদের বন্ধু সংখ্যা কম। কোনো সমস্যা ছাড়াই নিজের মনোরঞ্জন করতে পারলে এটি তাদের জিনিয়াস প্রবৃত্তিরই লক্ষণ।
বাচ্চারা জেদ করলে সাধারণত তাদের বকাবকি করা হলেও মনে রাখবেন জেদি বাচ্চাদের ডিটারমিনেশান খুব বেশি। তারা যা চায় তা অর্জন করেই থাকে। আবার নিজের কোনো কথায় সবার সহমত আদায় করে নেয়াও বুদ্ধিমান বাচ্চার লক্ষণ।
বিভিন্ন ভাষা শোনা ও স্মৃতিশক্তি
দম্পতিদের যদি বিভিন্ন ভাষার জ্ঞান থাকে, তাহলে সন্তানের সঙ্গে নানান ভাষায় কথা বলুন। একাধিক ভাষার জ্ঞান রয়েছে এমন মা-বাবার সন্তান আইকিউ টেস্টে ভালো ফলাফল লাভ করে। ভালো স্মৃতিশক্তিও বাচ্চাদের প্রতিভার অন্যতম লক্ষণ। এটিও তাদের বুদ্ধিমত্তার মাপকাঠি। আপনার সন্তান কোনো কিছু দেখলে যদি তা দীর্ঘদিন পরও মনে রাখে, তাহলে বুঝতে হবে যে তারা জিনিয়াস।
কল্পনাপ্রবণতা ও পড়াশোনায় ঝোঁক
আপনার সন্তান নিজে থেকেই নানা কাহিনি গড়তে পারে? কোনো কাল্পনিক বন্ধুর সঙ্গে খেলাধুলো করে? বয়সের তুলনায় কঠিন কোনো পরিস্থিতি তৈরি করে? এমন কিছু হলে ভাববেন না যে সে মিথ্যে কথা বানিয়ে বলছে। বরং বুঝতে হবে যে আপনার সন্তান কল্পনাপ্রবণ। কল্পনাপ্রবণতা থাকা বাচ্চার মানসিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
পড়াশোনায় আপনার সন্তানের কতটা ঝোঁক রয়েছে, তাও বাচ্চার জিনিয়াস হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে। সাধারণত দেখা গিয়েছে যে প্রতিভাবান বাচ্চারা স্কুলের পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে থাকে। সমীক্ষা অনুযায়ী ঠিকমতো স্কুলিং শুরু হওয়ার আগে বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাচ্ছলে বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা বললে তারা ভালো প্রদর্শন করে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।