জুমবাংলা ডেস্ক : এনজিও কর্মকর্তার সঙ্গে প্রেমের পর মনোমালিন্যের জেরে খুলনার হরিণটানা থানার পিঁপড়ামারি এলাকায় দশম শ্রেণির ছাত্রী সাথী আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (১৫ জুন) রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সাথীর মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান তার পরিবার। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
মৃত্যুর তিনদিন আগে সাথী তার ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দেয়। স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘আহা শখের পুরুষ, তুমি যে পরিমাণ খেলা দেখাইলা, সে খেলায় মীরজাফরও ফেল’।
এর একদিন আগে ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাথী লেখেন, ‘আমারে দেখিবার আইসো শেষ জানাজার আগে, যেন পরকালে তোমায় দেখার একটু স্বাদ জাগে’।
নিহত সাথী আক্তার হরিণটানা থানার ঠিকরাবাদ পিপড়ামারী এলাকার বালু ব্যবসায়ী ইউসুফ শেখের বড় মেয়ে। সে প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও সাথীর পরিবারের সদস্যরা জানান, সাথী আক্তারের সঙ্গে দেড় বছর আগে স্থানীয় একটি এনজিও’র হিসাবরক্ষক রাজ বিশ্বাসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এর জের ধরে গত শনিবার (১৫ জুন) রাত ১২টার দিকে সাথী রাজ বিশ্বাসের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার পর, নিজের ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ রোববার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেলে সাথীর বাবা ইউসুফ শেখ ও মা কুলসুম বেগমসহ পরিবারের সদস্য এবং সহপাঠীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এছাড়া এলাকার অসংখ্য মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় করেন। বিকেলে জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হয়।
হরিণটানা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় সাথীর বাবা বাদী হয়ে রোববার দুপুরে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ) মো. তাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছেন। যদি আত্মহত্যার প্ররোচনার সত্যতা পাওয়া যায়। তাহলে সেই ধারায় মামলা হবে এবং পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।