আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইংরাজি সাহিত্যে ‘রিফান্ড’ গল্পে মূল চরিত্র ছাত্র তাঁর পুরনো স্কুলে ফিরে গিয়ে এত বছরের সমস্ত খরচ ফেরত চেয়ে বসেছিলেন। যুক্তি ছিল একটাই, স্কুল-কলেজ পাশ করার পর চাকরি পাননি। অর্থাৎ তাঁর শিক্ষা কোনও কাজে লাগেনি। তাই সেই বাবদ খরচ একেবারে জলে গিয়েছে, এই যুক্তিতেই ছাত্র সমস্ত অর্থ ফেরত চেয়েছিলেন। সম্প্রতি আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা গেল সেই ‘রিফান্ড’ গল্পেরই বাস্তব ছবি! এখানকার এক ছাত্রী কর্তৃপক্ষের থেকে শিক্ষা বাবদ খরচের অর্থ ফেরত চাইলেন। তাঁর অভিযোগ, শিক্ষক তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) সাহায্যে ক্লাসে নোট দেন, তাঁর তো পরিশ্রম নেই। তাই অর্থও ফেরত দেওয়া হোক।
ছাত্রীর নাম এলা স্টেপলেটন। আমেরিকার নর্থইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক হয়েছেন। কিন্তু তারপরই আবিষ্কার করেন, এতদিন ক্লাসে শিক্ষক যা পড়াতেন, তা চ্যাট-জিপিটি অর্থাৎ AI-এর সাহায্য নিয়ে পড়াতেন। এমনকী ক্লাসনোটসও লেখাতেন ওই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়ে। বিষয়টি জানার সঙ্গে ক্লাসের বন্ধুকে জানান এলা। প্রমাণস্বরূপ বানান, ছবির নমুনা পাঠান তিনি। বন্ধুও এসব দেখে একেবারে চমকে যান! এখানেই এলার অভিযোগ শেষ নয়। কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে তাঁর আরও বক্তব্য, ”তিনি আমাদের বারবার বারণ করেছেন যেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার না করি, আর তিনি নিজে ব্যবহার করছেন!”
স্নাতক স্তরে পড়াশোনার জন্য এলার খরচ হয়েছে ৮০০০ ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। তার পুরোটাই ফেরত চেয়েছেন এলা। তাঁর লিখিত আবেদন অবশ্য গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুর্ভাগ্য এলার! সবদিক খতিয়ে দেখে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছাত্রীর আবেদন খারিজ করা হচ্ছে। তার কারণ, যে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই রিক অ্যারোউড জানিয়েছেন, তিনি AI ব্যবহার করেছিলেন ঠিকই, তবে তা নিজের লেখা নোটসকে আরও উন্নত করার জন্য। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একেবারে ন্যূনতম ব্যবহার করা হয়েছে। তাই অধ্যাপকের ‘দোষ’ মাপ করে দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।