ধীরে ধীরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠছে। আর তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি মানুষের মতো সক্ষমতা অর্জন করেছে কি না, তা জানতে চান অনেকেই। শুধু তা–ই নয়, এআই মানুষের কোন ধরনের কাজ কেড়ে নেবে, তা নিয়েও বিশ্বজুড়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। এবার এ আলোচনায় অংশ নিলেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ।
সম্প্রতি জনপ্রিয় ইউটিউবার জো রগানের সঞ্চালনায় এক পডকাস্টে জাকারবার্গ জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে মেটা এবং অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের তৈরি এআই এতটাই উন্নত হবে যে বর্তমানে কোড লেখায় নিযুক্ত মধ্যমস্তরের সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপন করতে পারবে এআই।
বর্তমানে মেটায় কর্মরত মধ্যমস্তরের সফটওয়্যার প্রকৌশলীরা বছরে এক লাখ ডলারের বেশি বেতন পান। তবে জাকারবার্গ মনে করছেন, এআই ব্যবহারের মাধ্যমে এ খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব। জাকারবার্গ এমন একসময়ে এই মন্তব্য করলেন, যখন গুগল এবং আইবিএমের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রমে এআই অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে খরচ কমানো ও দক্ষতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে।
গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, গুগলের জন্য তৈরি নতুন কোডের ২৫ শতাংশের বেশি বর্তমানে এআইয়ের মাধ্যমে লেখা হয়। তবে চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ ও সংশোধনের দায়িত্বে মানুষই রয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এআই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বর্তমানে সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের কাজের ধরনও পাল্টে যাচ্ছে।
সাধারণ কোডিংয়ের মতো রুটিন কাজের চাহিদা কমে আসছে। ফলে প্রকৌশলীদের এখন উচ্চতর ও জটিল সমস্যা সমাধান এবং এআই দিয়ে তৈরি কোডের তত্ত্বাবধানে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে। এআই ব্যবহার শুরু হলে সাধারণ সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের জন্য চাকরির সুযোগ সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এটি পুরোপুরি নেতিবাচক নয়। কারণ, জটিল প্রযুক্তি ও সৃজনশীল উদ্ভাবনে মানুষের ভূমিকা বরাবরের মতো গুরুত্বপূর্ণ থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।