রয়টার্স ইনস্টিটিউট এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় গবেষণা চ্যাটজিপিটি-র মতো এআই টুলের ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের প্রচলিত ধারণা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। 12,000 এরও বেশি লোকের উপর পরিচালিত এই গবেষণাটি ছয়টি দেশের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করে এবং এআই টুলের ব্যবহারের ধরণ, সচেতনতা, উদ্বেগ এবং ভবিষ্যতের প্রত্যাশা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।
গবেষণার প্রধান ফলাফল:
- বেশিরভাগ লোক এআই সরঞ্জাম ব্যবহার করে না: অধ্যয়নটি দেখায় যে বেশিরভাগ লোক নিয়মিত এআই টুল ব্যবহার করে না। যারা করেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই কেবল একবার বা দু’বার চেষ্টা করেছেন।
- সচেতনতার অভাব: অনেক লোক চ্যাটজিপিটি-র মতো জনপ্রিয় এআই টুল সম্পর্কে শুনেনি। গুগল জেমিনি এবং মাইক্রোসফ্ট কোপাইলটের মতো অন্যান্য টুল আরও পরিচিত ছিল, তবে সামগ্রিকভাবে এ নিয়ে সচেতনতা কম ছিল।
- ব্যবহারের ক্ষেত্র: যারা এআই টুলের ব্যবহার করেছেন তারা বিভিন্ন প্রকাল মিডিয়া তৈরি এবং তথ্য পাওয়ার জন্য এগুলি ব্যবহার করে। কেউ কেউ এগুলিকে মজাদার এজন্য ব্যবহার করে, অন্যরা আরও গুরুতর কাজের জন্য ব্যবহার করে।
- নির্ভরযোগ্যতা এবং চাকরির প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ: অনেকে এআই টুলের নির্ভরযোগ্যতা এবং তাদের চাকরির উপর প্রভাব সম্পর্কে বেশ উদ্বিগ্ন।
- ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী: বেশিরভাগ লোক বিশ্বাস করে যে পরবর্তী পাঁচ বছরে এআই আমাদের জীবনে বড় প্রভাব ফেলবে।
গবেষণা থেকে আমরা কী শিখতে পারি:
- এআই টুলের ব্যবহার এখনও বেশ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
- সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য আরও কাজ করা প্রয়োজন।
- এআই টুলের সম্ভাব্য সুবিধা এবং ঝুঁকি সম্পর্কে স্পষ্ট এবং খোলামেলা আলোচনার প্রয়োজন।
- শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে এআই টুলের দায়িত্বশীল এবং নৈতিক ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এই গবেষণাটি এআই টুলের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করে। আমাদের ব্যবহারকারীদের চাহিদা পূরণ করে এমন টুলের বিকাশ এবং উন্নত করতে হবে, তাদের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং সকলের জন্য উপকারী যেন হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।