বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ঐতিহাসিক ঘটনা, নদীর স্তরের রিডিং, উচ্চতা ও ভূখণ্ডের রিডিংসহ বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক তথ্যের সাহায্যে মেশিন লার্নিং মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে কোম্পানিটি। নদীপথে বন্যার সঠিক পূর্বাভাস দিতে এআই ব্যবহার করা হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে সার্চ জায়ান্ট গুগল। আর কিছু ক্ষেত্রে এআই কাজ করেছে এক সপ্তাহ আগেই।
এ ঘটনা কেবল টেক খাতে নয়, সাড়া ফেলেছে বিজ্ঞান জগতেও, কারণ এসব ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞানবিষয়ক শীর্ষ সাময়িকীতে।
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি ঘটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটি হল বন্যা। তাই এ বিষয়ে যেকোনো আগাম সতর্ক করার ব্যবস্থাই সুসংবাদ বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেট।
বন্যার ভবিষ্যদ্বাণী করা সবসময়ই বেশ জটিল ছিল, কারণ বেশিরভাগ নদীতে প্রবাহ মাপার কিছু নেই। আর এ সমস্যারই সমাধান করেছে গুগল। ঐতিহাসিক ঘটনা, নদীর স্তরের রিডিং, উচ্চতা ও ভূখণ্ডের রিডিংসহ বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক তথ্যের সাহায্যে মেশিন লার্নিং মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে কোম্পানিটি।
এর পরে, স্থানীয় মানচিত্র তৈরি করে প্রতিটি অবস্থানে লাখ লাখ বার সিমুলেশন চালিয়েছে গুগল। এসব কৌশলের এ সংযোগই মডেলগুলোকে আসন্ন বন্যার সঠিক পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। পদ্ধতিটি “খুব নির্দিষ্ট কিছু অবস্থানের জন্য অত্যন্ত নির্ভুল মডেল” তৈরি করেছে। তবে, এ কৌশলগুলো অবশেষে বিশ্বব্যাপী সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহার করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে গুগল।
কোম্পানিটি সফলভাবে কিছু বন্যার পূর্বাভাস সাত দিন আগে দিলেও গড় সংখ্যাটা পাঁচ দিন। তবে, এটি বর্তমান বৈশ্বিক পূর্বাভাসের নির্ভরযোগ্যতা শূন্য থেকে পাঁচ দিনে বাড়িয়েছে বলে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছে গুগল। এ ছাড়া, আফ্রিকা ও এশিয়ার কিছু অঞ্চলেও উন্নত পূর্বাভাস দিয়েছে এ পদ্ধতি।
এই প্রযুক্তি গুগলকে ৪৬ কোটি জনসংখ্যার ৮০টি দেশে সঠিক বন্যার পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করেছে। কোম্পানি এ পূর্বাভাসগুলো গুগল সার্চ, গুগল ম্যাপস ও অ্যান্ড্রয়েড নোটিফিকেশনের মাধ্যমে দেখিয়েছে৷ এ ছাড়া, এসব তথ্য গুগল মালিকানাধীন ওয়েব অ্যাপ ‘ফ্লাড হাব’ থেকেও পাওয়া যাবে, যেটি কাজ করছে ২০২২ সাল থেকে।
বন্যা নিয়ে ভালো মানের পুর্বাভাস মডেল তৈরি করার জন্য মেশিন লার্নিংয়ের সম্ভাবনা নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে যাবে গুগল। এ ছাড়া, এআই চালিত এ পদ্ধতি আরও উন্নত করার জন্য একাডেমিক গবেষকদের সঙ্গেও এ টেক জায়ান্ট জোট বেঁধেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট। এ পদ্ধতি ভবিষ্যতে একটি বৈশ্বিক বন্যার পূর্বাভাসের মডেল হবে বলে কোম্পানিটি আশা প্রকাশ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।