বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন তিন ধরনের হয়। এয়ার কুলড, ওয়েল কুলড এবং লিকুইড কুলড ইঞ্জিন। এই তিন ধরনের ইঞ্জিন বেশি ব্যবহার করে কোম্পানিগুলো। তবে এদের মধ্যে কী পার্থক্য রয়েছে জানেন? চলুন জানা যাক।
এয়ার কুলড ইঞ্জিন
এয়ার কুলড ইঞ্জিনের নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এটি ঠান্ডা বাতাসের মাধ্যমে ইঞ্জিনকে কুলড রাখতে সাহায্য করে। আসলে এই ইঞ্জিন দাম সবথেকে সস্তা হওয়ায় অধিকাংশ বাইকেই দেখতে পাওয়া যায়। ১০০ সিসি থেকে ২০০ সিসির মোটরবাইকে থাকে এয়ার কুলড ইঞ্জিন।
মূলত, ইঞ্জিনের বাইরে থাকে বিভিন্ন লাইন। সেখান বাতাস এসে ইঞ্জিন পৃষ্ঠে পৌঁছায়। যা ইঞ্জিন অয়েলকে ঠান্ডা রাখে। বাকি দুইটি ইঞ্জিনের থেকে অনেক বেশি লাভজনক ও সস্তা। মেইনটেনেন্স খরচ কম হওয়ায় প্রায় সব কমিউটার বাইকেই এয়ার কুলড ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়।
অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন
অয়েল কুলড ইঞ্জিনও এয়ার কুলড ইঞ্জিনের মতোই কাজ করে। এখানেও থাকে ফিন বা একাধিক লাইন। তবে এটি ছোট্ট রেডিয়েটরের সঙ্গে আসে। যা ইঞ্জিন অয়েলকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। প্রথমে গরম তেল একটি পাইপের মাধ্যমে রেডিয়েটরে যায়, তারপর বাতাস দ্বারা ঠান্ডা হওয়ার পরে ইঞ্জিনে ফিরে আসে।
১৫০ সিসি বা তার বেশি ক্ষমতার বাইকগুলোতে এই ইঞ্জিন দেখা যায়। এতেও ভালো মাইলেজ পাওয়া যায়, খরচ ও মেইনটেনেন্সও কম। তবে এয়ার কুলড ইঞ্জিনের থেকে মাইলেজ কম হওয়ায় অয়েল কুলড ইঞ্জিন কম ব্যবহার করা হয়।
লিকুইড কুলড ইঞ্জিন
সাধারণত ২০০ সিসি বা তার বেশি স্পোর্টস, ক্রুজার এবং অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরার বাইকে দেখা যায় লিকুইড কুলড ইঞ্জিন। বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ অটোমোবাইল ব্র্যান্ড তাদের চার চাকা, বাসে ব্যবহার করে এই ইঞ্জিন। বর্তমানে দুই চাকাতেও দেখা যায় লিকুইড কুলড প্রযুক্তি।
এখানে ইঞ্জিন ঠান্ডা রাখতে লিকুইড কুল্যান্ট ব্যবহার করা হয়। এই কুল্যান্ট ইঞ্জিনের বাইরে ইনস্টল করা রেডিয়েটরে থাকে। রেডিয়েটরের ভিতরে অনেকগুলো ছোট পাইপ থাকে যার মাধ্যমে ইঞ্জিন অয়েল ভিতরে সঞ্চালিত হয় এবং ইঞ্জিনে ফিরে এসে ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এই কুল্যান্টসহ পুরো ইঞ্জিন অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় কম দামী বা মিড-রেঞ্জ বাইকগুলোতে খুব বেশি দেখা যায় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।