বিনোদন ডেস্ক : ভালোবেসে ঘর বেঁধেছেন বলিউড তারকা দম্পতি ঐশ্বরিয়া রাই ও অভিষেক বচ্চন। বিয়ের পর বহুবার তাদের সংসার ভাঙার গুঞ্জন চাউর হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে জোর গুঞ্জন উড়ছে, বচ্চন পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না ঐশ্বরিয়ার। বিশেষ করে শাশুড়ি জয়া ও ননদ শ্বেতা বচ্চনের সঙ্গে তার তিক্ততা তৈরি হয়েছে। যার ফলে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে গিয়ে থাকছেন এই অভিনেত্রী।
ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে সংসার ভাঙার পেছনে নানা কারণ সামনে আসছে। অভিনেত্রী নিমরত কৌরের নামও জড়িয়েছে অভিষেকের সঙ্গে। এত সমালোচনার মাঝেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া ও তাদের পরিবার। এবার ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন অমিতাভ বচ্চন।
‘শোলে’ তারকা অমিতাভ বচ্চন তার ব্লগে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে এ অভিনেতা বলেন, “এক জীবনে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে অপরিসীম বিশ্বাস, সাহস ও সততা প্রয়োজন। পরিবার নিয়ে আমি খুবই কম কথা বলি। কারণ এটি আমার রাজ্য এবং এর গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাই। গুজব আর গুজব…। যাচাইবাছাই ছাড়া এসব গুজব মিথ্যা।”
কোনো কিছু লেখার আগে তথ্য যাচাই করার কথা স্মরণ করে অমিতাভ বচ্চন বলেন, “কোনো কিছু লেখার আগে যাচাই করে নেওয়া উচিত। অনেকে খবর নিয়ে যাচাই করেই লিখতে চান। তবে তারা স্বেচ্ছায় যে পেশা বেছে নিয়েছেন, সেটাকে কখনো চ্যালেঞ্জ করব না। বরং সমাজের জন্য করা কাজের প্রশংসাই করব। কিন্তু মিথ্যা অথবা কোনো ঘটনাকে ‘প্রশ্ন’ চিহ্ন দিয়ে লিখলে তা হয়তো আইনত সমস্যা হবে না। তবে যে সন্দেহের বীজ মানুষের মনে বপন করে দেবেন, সেখানেই আসল প্রশ্ন থেকে যায়।”
প্রশ্নবোধক চিহ্ন দিয়ে লেখা খবরের নেতিবাচক প্রভাব ব্যাখ্যা করে অমিতাভ বচ্চন বলেন, “আপনি যা পছন্দ করেন তা লিখুন। কিন্তু আপনি এটিকে ‘প্রশ্ন’ চিহ্ন দিয়ে রাখছেন। আপনি বলছেন এটি প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। কিন্তু পাঠক এটিকে খুব নীরবে বিশ্বাস করছেন।”
ক্ষোভ প্রকাশ করে অমিতাভ বচ্চন বলেন, “অসত্য বা সন্দেহজনক মিথ্যা এবং প্রশ্ন চিহ্ন দিয়ে করা খবরে গোটা দুনিয়া ভরে যাক। এটি ওই ব্যক্তিকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে অথবা পরিস্থিতি যাইহোক আপনি হাত ধুয়ে নিয়েছেন। তাতে আপনাদের কী!”
২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া। ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর এই দম্পতির ঘর আলো করে জন্ম নেয় কন্যা আরাধ্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।