বিনোদন ডেস্ক : ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সৌন্দর্যের প্রশংসা যতই করি, ততই কম! প্রায় ৫০ ছুঁইছুঁই ঐশ্বর্যর সৌন্দর্য দেখে বারবার প্রেমে পড়তে হয়। এক একটি ট্র্যাডিশনাল আউটফিটে তাঁকে এতটাই সুন্দর লাগে যে, নতুন করে প্রশংসা করার কোনও প্রয়োজন হয় না। সেবারও এরকমই হয়েছিল। কুনাল কাপুর ও নয়না বচ্চনের রিসেপশনে যখন তিনি পৌঁছালেন। লাল লেহেঙ্গায় তাঁকে এতটাই সুন্দর লাগছিল! চলুন দেখে নেওয়া যাক ঐশ্বর্য রাইয়ের সাজ।
ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সৌন্দর্যের জন্য সারা ভারতেই তাঁর কদর আছে। তবে শুধুই ভারতে নয়, প্রাক্তন এই বিশ্বসুন্দরীকে এক ডাকে চেনেন প্রায় সবাই। তাঁর অনুরাগীরা রয়েছেন সারা বিশ্বেই। যাঁরা ঐশ্বর্যর সৌন্দর্য দেখে বারবার মুগ্ধ হন। ঐশ্বর্য কেবল তাঁর কাজের জন্য এবং বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ হওয়ার জন্যই পরিচিত নন। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে থাকার পরেও স্টাইলিংয়ের জন্য ফ্যাশন দুনিয়ায় তাঁর জনপ্রিয়তা অসাধারণ। যাইহোক, ঐশ্বর্য যেভাবে তাঁর লুকে এলিগেন্ট টাচ যোগ করেছেন। তা দেখে সবাই তাঁর প্রশংসা করতে বাধ্য!
প্রায় ৫০ ছুঁইছুঁই এই অভিনেত্রী। কিন্তু তাতে তাঁর বাহ্যিক চেহারায় কোনও প্রভাব পড়েনি। একইভাবে ঐশ্বর্যর গ্ল্যামার ছিল দেখার মতো! এর আরও একটি কারণ এই যে, এই সুন্দরী নিজের সৌন্দর্য ফ্লন্ট করার জন্য এলিগেন্ট পোশাকেই বাজিমাত করেন। এবং তা মাত্র একবার নয়, বারবারই তাই করেছেন ঐশ্বর্য। যখনই তিনি যে কোনও বিবাহ অনুষ্ঠানে অংশ নেন, তাঁকে বেশিরভাগই দেশি লুকে দেখা যায়।
অমিতাভ বচ্চনের ভাই অজিতাভ বচ্চন এবং রামোলা বচ্চনের মেয়ে নয়না বচ্চনের বিয়ের অনুষ্ঠানের কথাই আজ আলোচনা করছি। হ্যাঁ, অনুষ্ঠান খুব সাম্প্রতিক নয়। বরং বেশ কয়েক বছরের পুরনো। ২০১৫ সালে ৯ ফেব্রুরায়ি বলিউড অভিনেতা কুনাল কাপুরকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
গাঁটছড়া বাঁধার পর, এই দম্পতি একটি গ্র্যান্ড রিসেপশনের আয়োজন করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন তাঁর সম্পূর্ণ পরিবারের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন। ঐশ্বর্য এই পারিবারিক বিয়েতে খুব রয়্যাল লুক ক্যারি করেছিলেন। যা দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।
বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ তাঁর ননদের বিয়ের জন্য একটি বিশেষ লহেঙ্গা ডিজাইন করিয়েছিলেন। যার প্রতিটি ডিটেলিং তাঁর সৌন্দর্যকে কমপ্লিমেন্ট দিচ্ছিল। অভিনেত্রীর জন্য এই লহেঙ্গা সেটটি বিখ্যাত ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনার আবু জানি সন্দীপ খোসলা ডিজাইন করেছিলেন। যিনি খুব ভাল করেই জানতেন যে, ঐশ্বর্য লাল রঙ কতটা পছন্দ করেন! ঐশ্বর্যর লহেঙ্গার প্রাথমিক রঙ ছিল লাল, যার উপরে সিল্কের সুতো ব্যবহার করে সুন্দর জরি কাজ করা হয়েছিল।
ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের এই লহেঙ্গায় ট্র্যাডিশনাল এমব্রয়ডারি করা হয়েছে। সুতো এবং জরদৌজি এমব্রয়ডারির পাশাপাশি ডিজাইনারের সিগনেচারের কাজও করা হয়েছিল। যা হেমলাইনে দেখা যাচ্ছিল। স্কার্টের নিচের দিকে সোনালি জরি দিয়ে ফুলের মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। যা এই জমকালো অংশে একটি অন্যরকম টাচ যোগ করেছে। একই সময়ে, লহেঙ্গার নিচের অংশে ভারী কাজ করা হয়েছিল। আর উপরের দিকে ছিল সুন্দর এমব্রয়ডারি।
ব্লাউজ স্টাইলের পরিবর্তে, লহেঙ্গার সঙ্গে একটি ছোট চোলি যোগ করা হয়েছিল। যার ডিপ নেকলাইন ছিল দেখার মতো! হাফ স্লিভ এই ব্লাউজটিকে আরও সুন্দর করে তুলেছিল। স্কার্টের মতোই এই ব্লাউজের উপরেও এমব্রয়ডারি করা হয়েছিল। দোপাট্টায় হালকা কাজই রাখা হয়েছিল। যা এই লুকে যোগ করেছিল একটি এলিগেন্ট টাচ।
এই রয়্যাল লুকের সঙ্গে ঐশ্বর্য রাই খুব হালকা গয়নাই ক্যারি করেছিলেন। যা দেখাচ্ছিল অসাধারণ। কারণ, অতিরিক্ত গয়না পরলে এই লুকটি খারাপও হয়ে যেতে পারত। তাই সঠিক গয়না বেছে নেওয়ার আগে দুবার ভাবেননি অভিনেত্রী।
শুধুমাত্র হিরে এবং সোনার তৈরি কানের দুল পরেছিলেন। যার সঙ্গে তিনি দুই হাতেই এই সেটের মতো ব্রেসলেটও পরেছিলেন। তাঁর গয়না নির্বাচন এমন ছিল, যা তাঁর আউটফিটকে কমপ্লিমেন্ট দিচ্ছিল। একই সময়ে, তাঁর মেকআপ এবং হেয়ারস্টাইলও ছিল দেখার মতো। একদম নিখুঁত। সব মিলিয়ে ঐএই সময়ে একেবারে নিশ্ছিদ্র ছিল।
সব মিলিয়ে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে এতটাই সুন্দর লাগছিল যে আমরা তাঁর দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারছি না।
ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের মেকআপ করেছিলেন মিকি কনট্র্যাক্টর। যিনি জানেন যে, ঐশ্বর্য ক্যাট আই কতটা পছন্দ করেন। তাঁর মুখের জন্য ন্যুড বেস তৈরি করেছিলেন মেকআপ শিল্পী। গালে দেওয়া হয়েছিল ব্লাশের টাচ আপ। চোখকে বিশেষ হাইলাইট করা হয়েছিল। চুল খোলাই রেখেছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। যার সঙ্গে লাল লিপস্টিক শেড ছিল দেখার মতো!
ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে এতটাই সুন্দর লাগছিল যে, তাঁর শাশুড়ি জয়া বচ্চনও খুবই খুশি ছিলেন। নিজের পূত্রবধুকে এক মুহূর্তের জন্য একা ছাড়েননি। এমনকী তাঁর সঙ্গে একাধিক ছবিও তুলেছিলেন জয়া বচ্চন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।