বিনোদন ডেস্ক : বিশ্বসুন্দরী উপাধিটা যার মাধ্যমে উপমহাদেশে জনপ্রিয় হয়েছে, তিনি ঐশ্বরিয়া রাই। একটা সময় সৌন্দর্যের মাপকাঠি ছিলেন তিনি। কোন নারী কতটা সুদর্শনা, সেটার তুলনা করতে গেলে ঐশ্বরিয়ার নামটি উচ্চারিত হতো প্যারামিটার হিসেবে। না শুধু সৌন্দর্যেই সীমাবদ্ধ নয় অ্যাশের খ্যাতি। অভিনয়ে তিনি নিজেকে আরও বেশি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বুধবার ঐশ্বরিয়ার জন্মদিন। জীবনের হাফসেঞ্চুরিতে পা রাখলেন তিনি। ১৯৭৩ সালের এই দিনে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ম্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণ করেন এই নন্দিত তারকা। বিশেষ দিনে তার জীবনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অধ্যায়ে চোখ বুলানো যাক—
১৯৯৪ সালে ভারতে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সে আসরে প্রথম রানারআপ হন ঐশ্বরিয়া। তবে ঘটনাক্রমে তিনি পৌঁছে যান মিস ওয়ার্ল্ডের আন্তর্জাতিক মঞ্চে। আর সবাইকে টপকে জিতে নেন সেরার মুকুট। হয়ে যান ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ তথা বিশ্বসুন্দরী।
মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জয়ের পরই ঐশ্বরিয়ার কাছে সিনেমার প্রস্তাব আসতে শুরু করে। এখন তিনি বলিউডের নামজাদি অভিনেত্রী হলেও শুরুটা কিন্তু হয়েছিল তামিল ছবি দিয়ে। বিখ্যাত নির্মাতা মণিরত্নমের পরিচালনায় ১৯৯৭ সালে ‘ইরুভার’ দিয়ে তার রুপালি পথচলা শুরু হয়। তবে মজার ব্যাপার হলো— একই বছর তিনি বলিউডেও আত্মপ্রকাশ করেন; ‘অউর পেয়ার হো গায়া’ সিনেমার মাধ্যমে।
১৯৯৯ সালে সঞ্জয়লীলা বানসালির ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ ছবির নন্দিনী চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দেন ঐশ্বরিয়া। এটিই তার ক্যারিয়ার ভিত গড়ে দেয়। একই বছর সুভাষ ঘাইয়ের ‘তাল’ ছবিটিও তাকে প্রশংসা ও জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এর পর তাকে দেখা গেছে ‘দেবদাস’, ‘গুরু’, ‘ধুম ২’, ‘যোধা আকবর’, ‘চোখের বালি’, ‘এনথিরাম’, ‘গুজারিশ’, ‘পন্নিয়িন সেলভান’র মতো দর্শকপ্রিয় ও প্রশংসিত সিনেমায়।
বিখ্যাত কান উৎসব যেন ঐশ্বরিয়ার দ্বিতীয় বাড়ি! নিয়ম করে প্রতিবছরই তার ডাক আসে সেখানে। তিনিও মুগ্ধতা ছড়াতে হাজির হন চোখ ধাঁধানো সাজে। টানা দুই দশকের বেশি সময় ধরে তিনি কান উৎসবের লাল গালিচায় হেঁটে বেড়াচ্ছেন!
পর্দায় জুটি বাঁধার পর বাস্তবজীবনেও প্রেমে জড়িয়ে পড়েন ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক বচ্চন। এর পর ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল তারা বিয়ে করেন। তাদের ঘরে এসেছে এক কন্যা আরাধ্য। দাম্পত্য জীবনের দীর্ঘ সময় নিয়ে ঐশ্বরিয়া একদা বলেছেন, ‘এই জার্নিটা যেন চোখের পলকের মতো। এটা অসাধারণ একটা সময়, যেটা খুব দ্রুত বয়ে যাচ্ছে।’
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।