বিনোদন ডেস্ক : বিবাহিত জীবনের ১৭ বছর পার করেছেন বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রায়। দীর্ঘ এ সময় পার করার পর তার সংসারে এখন উঠেছে ভাঙনের সুর। যদি আম্বানি পুত্রের প্রাক বিয়ের অনুষ্ঠানে এক সঙ্গেই দেখা গেছে বচ্চন পরিবার ও ঐশ্বরিয়াকে। তবে এ দৃশ্যকে আই ওয়াশ বলে আখ্যা দিচ্ছেন নেটিজেনরা। এই যখন পরিস্থিতি তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের একটি ভিডিও। যে ভিডিওতে রেগে গিয়ে অমিতাভ বলছেন, ‘ঐশ্বরিয়ার ওই বিয়েটাই হয়নি’!
স্বল্প সময়ের ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ঐশ্বরিয়ার বিয়ের খবর অস্বীকার করছেন বিগ বি। ভিডিওতে বলছেন, বিয়ে মোটেও হয়নি আমার বৌমার। শুনতে একটু অবাক লাগলেও এমনই বলেছেন অমিতাভ। কেন এমন কথা বলেছেন এ মেগাস্টার জানেন?
মাঙ্গলিক দোষ কাটাতে একটি গাছের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয় ঐশ্বরিয়াকে। বিষয়টি মিথ্যা, বলেন অমিতাভ। ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি আসলে পুরনো একটি ক্লিপ। ওই পুরনো ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়ার বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয় অমিতাভকে। বলা হয়, ছেলে অভিষেকের সঙ্গে বিয়ের আগে এক গাছের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার রীতি মেনেছিলেন বচ্চন পরিবার। কারণ ঐশ্বরিয়ার কুন্ডলীতে ছিল মঙ্গলের দোষ। জ্যোতিষীর কথা মতো, মাঙ্গলিক দোষ কাটাতে প্রথমে একটি গাছের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয় ঐশ্বরিয়াকে।
উপস্থাপকের এমন মন্তব্য শুনে রেগে যান অমিতাভ। বলেন, বচ্চন পরিবার কুসংকারচ্ছন্ন নয়। যে কারণে ছেলের বিয়েতে ঐশ্বরিয়ার জন্মকুন্ডলীও নেয়া হয়নি। মাঙ্গলিক দোষ কাটাতে গাছের সঙ্গে বিয়ে তাই প্রশ্নই ওঠে না। অমিতাভ আরও বলেন, যে গাছের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার বিয়ে হয়েছিল, সেই গাছ কোথায়? খুঁজে পাবেন না। কারণ ঐশ্বরিয়ার ওই বিয়েটাই হয়নি।
প্রসঙ্গত, ব্যক্তিজীবনে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে সালমান খানের প্রেম ছিল। কোনো এক কারণে সালমানের সঙ্গে ব্রেক আপ হলে অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ঐশ্বরিয়া। অন্যদিকে অমিতাভ পুত্র অভিষেক বচ্চনের দীর্ঘ সময় প্রেম করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের সঙ্গে। প্রেম গড়িয়েছিল বিয়ে অবধি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়েটা হয়নি অভিষেক-কারিশমার। এরপর জীবনের মোড়ে অভিষেকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ঐশ্বরিয়া। ২০০৭ সালে পারিবারিকভাবে অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রয়েছে একমাত্র কন্যা সন্তান আরাধ্য বচ্চন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।