জুমবাংলা ডেস্ক : চৈত্রের মাঝামাঝি সময় থেকেই তাপমাত্রা বেড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হতে শুরু করে। পরে কয়েকদিনের বৃষ্টির প্রভাবে তাপমাত্রা কমতে শুরু করলেও গতকাল থেকে আবারও বাড়তে শুরু করেছে। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাঙ্গামাটিতে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নীলফামারীর নিকলীতে ১৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বান্দরবানে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে চট্টগ্রাম পর্যবেক্ষণাগারে সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুমিল্লায় ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি, বরিশালে ৩৫ ডিগ্রি, খুলনায় ৩৩, রাজশাহীতে ৩৫ দশমিক ৮, রংপুরে ৩৫, ময়মনসিংহে ৩২ দশমিক ২, ঢাকায় ৩৫ দশমিক ৪, গোপালগঞ্জে সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ সন্ধ্যা ৬ থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কোথাও বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিধপ্তর। এতে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহ সম্পর্কে বলা হয়েছে, পাবনা, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার, বান্দরবান এবং পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
২৪ ঘণ্টার তাপমাত্রা সম্পর্কে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ঈদের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি বাড়তে পারে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এসময়ের তাপমাত্রা সম্পর্কে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ঈদের দিন কোনো কোনো জেলায় তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাপমাত্রা কমে গিয়ে তাপপ্রবাহ একেবারেই থাকবে না এমন নয়।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সাধারণত তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। ফলে আগামীকাল যেসব জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে সেসব জেলার কোনোটির তাপমাত্রা যদি ৩৬ দশমিক ৬ থেকে থাকে এবং সেই তাপমাত্রা যদি আরও কমে যায় তখন ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে চলে আসবে। তখন সেসব জেলায় তাপপ্রবাহ বইছে তা বলা যাবে না। আগামীকালও কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহ বইবে।’
ঈদের দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকলেও এখন কালবৈশাখীর মৌসুম। তাই যেকোনো সময় আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে কালবৈশাখির শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না এই আবহাওয়াবিদ।
তিনি বলেন, ‘এখন যে সিজন এমন সময় যে কোনো কিছু ঘটতে পারে। কালবৈশাখিও হতে পারে। তবে সে সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু এই মৌসুমে যেহেতু ঘটে থাকে তাই ইগনোর করছি না। যদি কালবৈশাখি হয় তবে দেশের পশ্চিম অঞ্চলের খুলনা এবং রাজশাহী বিভাগে হালকা বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।