বলিউড অভিনেত্রী ডেইজি শাহ এক দশকেরও বেশি সময় আগে সালমান খানের সঙ্গে “জয় হো” ছবির মাধ্যমে আলোচনায় আসেন।
তবে বর্তমানে অভিনয়ে খুব একটা নিয়মিত নন তিনি। চল্লিশের এই অভিনেত্রী এখনও অবিবাহিত, ব্যক্তিগত জীবন কাটাচ্ছেন একাই।
সম্প্রতি ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিয়ে প্রসঙ্গে খোলামেলা মতামত দেন ডেইজি। তাঁর ভাষায়, তিনি যথেষ্ট আত্মনির্ভরশীল ও নিরাপদ বোধ করেন, তাই জীবনে টিকে থাকার জন্য কোনো পুরুষের প্রয়োজন নেই।
পারিবারিক চাপের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আগে মা আর বোন বিয়ের জন্য জোর দিতেন। তবে আমার কাকা বলতেন, আমি স্বাধীনভাবে ভালো করছি, তাই বিয়ের প্রয়োজন নেই। এখন মা-ও সেটা মেনে নিয়েছেন। সত্যি বলতে, আজকাল যেসব পুরুষকে দেখছি, তাদের দেখে আমার বিয়ে করার ইচ্ছে হয় না।”
ডেইজি আরও ব্যাখ্যা করেন, “আমার জীবনে যারা এসেছে, তারা সবসময় আমার পরিবারের পুরুষসুলভ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চেয়েছে। বিষয়টা আমার কাছে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। আজকালকার অনেক পুরুষ শক্তিশালী নারীদের সহ্য করতে পারে না, তাদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে। আমি আর্থিক ও মানসিকভাবে এতটাই দৃঢ় যে নিজের জীবনে কোনো পুরুষকে ভরসা হিসেবে লাগবে না।”
নারীদের অবস্থার পরিবর্তন নিয়েও মত দেন তিনি।
বলিউড অভিনেত্রী ডেইজি শাহ। সালমান খানের হাত ধরে লিডিং লেডি হিসেবে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। অভিনয়ে এখন ঠিক অতটাও সরব নন চল্লিশের ডেইজি। ব্যক্তিগত জীবনেও একা। এখনো বিয়ে করে থিতু হননি ‘জয় হো’ অভিনেত্রী।
ভারতীয় গণমাধ্যম হাটারফ্লাই-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ডেইজি শাহ। এ আলাপচারিতায় বিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। জানিয়েছেন—তিনি নিরাপদ ও আত্মনির্ভরশীল। সুতরাং কোনো পুরুষের প্রয়োজন নেই।
বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দিতেন। তা স্মরণ করে ডেইজি শাহ বলেন, “বিয়ে করার জন্য আমার মা আর বোন আগে জোর করতেন। কিন্তু আমার কাকা বলতেন, ‘সে তো স্বাধীন মেয়ে। সে যখন নিজের জন্য ভালো করছে, তখন কেনই বা সে সেটেল হবে।’ আমি বিয়ে না করেও ঠিক আছি—আমার মা-ও এখন এটা মেনে নিয়েছেন। আমি এখন যে ধরনের পুরুষদের দেখছি, তাতে বিয়ে করতে ইচ্ছে করে না।”
ব্যাখ্যা করে ডেইজি শাহ বলেন, “আমার জীবনে যেসব পুরুষ এসেছে, তারা সবসময় আমার পরিবারের ‘পুরুষ’ হতে চেয়েছে; এটা আমার একদমই পছন্দ হয়নি। এটা আরো কঠিন হয়ে উঠছে। কারণ আমি যাদের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি, তাদের অনেকেই ‘শক্তিশালী নারীদের’ সহ্য করতে পারে না। তাদের মাঝে একধরনের নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে। আমি আমার জীবনে এতটাই নিরাপদ ও আত্মনির্ভরশীল যে, আর্থিকভাবে পূর্ণ হওয়ার জন্য কোনো পুরুষের দরকার নেই।”
আগের দিনে নারীদের পরিস্থিতি উল্লেখ করে ডেইজি শাহ বলেন, “আগের দিনে ‘সেটেল’ মানে ছিল, কোনো পুরুষকে বিয়ে করে আর্থিকভাবে নিরাপত্তায় থাকা এবং সন্তান নেওয়া। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। যদিও মেট্রোপলিটন শহরের অনেক নারী এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে এসেছে, ছোট শহরগুলোতে এখনো এমনটা দেখা যায়।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।