জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহীতে জনপ্রিয় হয়েছে উঠছে ছাদ বাগান। নগরীর প্রায় ৬০ ভাগ বাড়ির ছাদেই এখন লাগনো হয় কোনো না কোনো গাছ। এই ছাদ বাগান করে আবার অনেকেই পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ পুরস্কারও। তবে এক ব্যাতক্রম ছাদ বাগান করেছেন রাজশাহী নগরীর বুধপাড়া এলাকায় মোহাম্মদ লিয়াকত আলী। পুরো ছাদই তিনি সাজিয়েছেন বনসাই দিয়ে। ছোট ছোট এসব গাছ যেমন দৃষ্টিন্দন ঠিক তেমনি উচ্চ মূল্যেরও।

লিয়াকত আলীর গড়া ছাদ বাগানে এসেছে নানান রঙের ফুল। গাছগুলো ফুলের পসরা সাজিয়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে দর্শনার্থীদের মাঝে। পুরো ছাদই যেন মনে হতে পারে ফুলে রাজ্য। সারি সারি লাগানো আছে হিজল, তমাল, বট, পাইকুড়, আফ্রিকান বাওবাবসহ প্রায় ৪ শতাধিক বনসাই। তবে বাগানের বিশেষ আকর্ষণ ৩০ জাতের বাগান বিলাসের বনসাই। লাল সাদা আর হলুদ বাহারি রঙে সেজে আছে বাগানবিলাসের বনসাইগুলো।
মোহাম্মদ লিয়াকত আলী পেশায় একজন সরকারি চাকরিজীবী। প্রথমে শখ করেই বাড়ির ছাদে গাছ লাগাতেন। ২০১৫ সালে দিকে তিনি রাজশাহী একটি ট্রেনিং সেন্টার থেকে বনসাই ট্রেনিং নেন। এরপর চায়না বটগাছ দিয়েই শুরু হয় তারা এই বনসাই বাগান। ধীরে ধীরে তার ৬কাঠা বাড়ির ছাদে লাগিয়েছেন প্রায় ৪০০ প্রাজাতির বনসাই। এমনকি আগের যেসব সাধারণ গাছ ছিল সেগুলোকেও বনসাই গাছে পরিণত করেছেন। বর্তমানে তার কাছে ২০ বছরের ছাতিম গাছও আছে। এই বাগান করতে প্রায় ৭ লাখ খরচ হয়েছে তার।
লিয়াকত আলী বলেন, সাধারণত সবাই ছাদে গাছ লাগাতে পছন্দ করে। তবে সল্প পরিসরে অনেক বেশি গাছ লাগানো সম্ভব হয়না। বিশষে করে দেশি বট, পাকুড়, হিজল এসব গাছ তো হারিয়েই গেছে। এসব গাছ ফিরিয়ে আনতেই বনসাই গাছের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। অফ্রিকান গাছ থেকে শুরু করে দেশি অনেক গাছও আছে এখন তার ছাদ বাগানে।
তিনি বলেন, সৌখিন মানুষের কাছে দিন দিন বনসাইয়ের চাহিদা বেড়েই চলেছে। তাই ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে বনসাই চাষের শুরু করবেন। এরই মধ্যে রাজশাহীর বনসাই সোসাইটি থেকে একাধিক স্বীকৃতিও মিলেছে তার বাগানের। একটি গাছ বন্সাই বানাতে ৫ বছর সময় লাগে। কোনো কোনো গাছ বানাতে ১০ থেকে ১৫ বছরও লেগে যায়। এই গাছ গুলো আকার সাইজ ভেদে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাম পড়ে। লিয়াকত আলী মনে করেন ছাদ বাগান করে তরুণরা নিজেদের পাশাপাশি অন্যদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন। এখান থেকে আয় করারও সুযোগ আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



