জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং ও সাধারণ ব্যাংকিং অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ডিজিটাল লেনদেন জনপ্রিয় হলেও, সাধারণ মানুষ প্রতিদিন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রতারক চক্রের কবলে পড়ে।
গ্রামের সহজ-সরল মানুষ থেকে শুরু করে শহরের শিক্ষিত ও প্রযুক্তি-সচেতন ব্যক্তিরাও এই ডিজিটাল জালিয়াতির শিকার হচ্ছেন। প্রতারকরা নিজেকে ব্যাংক কর্মকর্তা বা সরকারি কর্মচারী পরিচয় দিয়ে ফোন বা মেসেজ পাঠায়, ভুয়া লিংক পাঠিয়ে OTP, পাসওয়ার্ড বা অ্যাক্সেস কোড সংগ্রহ করে নেয়। এরপর মুহূর্তেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব।
বাস্তব ঘটনা :
রাজধানীর একটি সফটওয়্যার ডেভেলপার কোম্পানির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা রাত ১২টার সময় একটি মেসেজ পান—তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। রাতের বেলায় ব্যাংক বা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে কোনো যোগাযোগ সম্ভব ছিল না। পরদিন ব্যাংকে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, তার ব্যাংকিং অ্যাপ ব্যবহার করেই লেনদেনটি করা হয়েছে।
কিন্তু তিনি স্পষ্ট জানান—সে সময় তিনি অ্যাপ ব্যবহার করেননি, এমনকি কোনো OTP বা পাসওয়ার্ডও শেয়ার করেননি।
ব্যাংক কেবল একটি অভিযোগ গ্রহণ করে। এরপর একাধিক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো সমাধান হয়নি, টাকা ফেরত তো দূরের কথা।
সমাধানের দাবি :
এই ধরনের ভয়ংকর সমস্যার দ্রুত সমাধানে সাধারণ জনগণ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা যা চাইছেন:
২৪/৭ একটি ইমারজেন্সি হটলাইন নম্বর চালু করতে হবে, যাতে প্রতারিত ব্যক্তি তাৎক্ষণিক অভিযোগ জানাতে পারেন।
সরকারি পর্যায়ে একটি অনলাইন ও মোবাইল-ফ্রেন্ডলি ওয়েব পোর্টাল চালু করতে হবে, যেখানে সহজভাবে তথ্য সাবমিট করে অভিযোগ রেজিস্ট্রি করা যাবে।
ব্যাংকিং অ্যাপ ও মোবাইল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্মে দ্বৈত নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Two-Factor Authentication) এবং রিয়েল টাইম সতর্কতা চালু করা জরুরি।
প্রতারক চক্র শনাক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে শুধু প্রযুক্তির প্রসার নয়, তার নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। আর্থিক প্রতারণা রোধে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে সাধারণ মানুষের আস্থা যেমন হারাবে, তেমনি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি থমকে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।