জুমবাংলা ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরীর উদ্ভাবিত ‘পঞ্চব্রীহি’ ধানকে দেশের জন্য বড় সফলতা হিসেবে দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। তিনি বলেন, একটি ধানগাছ থেকে পাঁচবার ফসল উৎপাদন করা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সফলতা।
গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেস (কারস) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। পাঁচবার ফলনশীল ধানগাছ নিয়ে ‘পঞ্চব্রীহি মাল্টি-হারভেস্ট রাইস: এ পাথওয়ে টু ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্লাইমেট মিটিগেশন’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে জানানো হয় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরীর উদ্ভাবিত ‘পঞ্চব্রীহি’ ধান এক গাছে ৫ বার হয়।
অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, একদিকে দেশে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবাদি জমি কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন ও বেশিরভাগ জমিতে এক ফসলী ধান উৎপাদনসহ বিভিন্ন কারণে খাদ্য সংকট তৈরি হচ্ছে। এক্ষেত্রে এই গবেষণা ও উদ্ভাবন আমাদের খাদ্য চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যৌথ সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কারস এই জাতীয় গবেষণাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। এর সুফল মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কারস পরিচালক অধ্যাপক ড. ইসতিয়াক এম সৈয়দ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ‘পঞ্চব্রীহি’ ধানের উদ্ভাবক ড. আবেদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী এবং সাবেক শিক্ষা সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান।
বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের (বিএফএফ) সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেস এই সেমিনার আয়োজন করে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।