আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টানা প্রায় চার মাস ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এরই মধ্যে একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে অবরুদ্ধ উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলে। কবরটিতে চোখ বাঁধা ও হাতকড়া পরানো পচন ধরে যাওয়া ৩০ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ পাওয়া গেছে। কালো প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো ছিল সবকটা মরদেহ।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। গণকবরটি পাওয়ার পর ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (৩১ জানুয়ারি) উত্তর গাজার হামাদ স্কুলের কাছে ‘কালো প্লাস্টিকের ব্যাগে’ ৩০টি মরদেহ পাওয়া গেছে। মরদেহগুলোর চোখ ও হাত বাঁধা ছিল। তাদের হত্যার জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।
এ ঘটনাকে ইসরায়েলি ‘গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া এ ‘গণহত্যার’ সত্যতা ও মাত্রা খুঁজে বের করার জন্য আন্তর্জাতিক তদন্ত দলকে গাজা পরিদর্শনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, মৃতদের কালো ব্যাগে ভরার আগে চোখ বেঁধে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারের কাজ করছিলাম। তখন স্কুলের আঙিনার ভেতরে ধ্বংসস্তূপ দেখতে পাই। পরে তার ভেতর বেশ কয়েকটি মরদেহ দেখতে পেয়ে হতবাক হয়ে যায় উপস্থিত সবাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কালো প্লাস্টিকের ব্যাগ খুলতেই আমরা মরদেহ পাই, সেগুলো পচে গিয়েছিল। চোখ, হাত-পা বাঁধা ছিল তাদের।’
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলছে, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উচিত গণকবরের ডকুমেন্ট তৈরি করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।