বিনোদন ডেস্ক : কখনো বড় পর্দায়, কখনো বা টেলিভিশনের পর্দায়— নব্বইয়ের দশকের শেষ সময় থেকেই বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের পরিচিতি তৈরি করে নিয়েছিলেন কাশমিরা শাহ। শুধু হিন্দি ছবিতেই নয়, মারাঠি, ভোজপুরি, এমনকি তেলুগু ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি।
মুম্বাইয়ে কাজ করতে এসেই ক্রুষ্ণা অভিষেকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কাশমিরা। তাঁদের সম্পর্ক নিয়েও বলিউডে বহু দিন আলোচনা হয়েছে। ক্রুষ্ণার সঙ্গে এক রাত কাটিয়েই নাকি তাঁর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে জন্ম কাশমিরার। সেখানেই স্কুল এবং কলেজের পড়াশোনা শেষ করেছেন তিনি। ১৬ বছর বয়স থেকে মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন কাশমিরা।
মডেলিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সাত বছরের মধ্যেই মডেল হিসেবে নামডাক হয়ে যায় কাশমিরার। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিজয়ীও হন তিনি। তার পরেই বড় পর্দায় পা রাখেন।
১৯৯৬ সালে একটি তেলুগু ছবিতে নাচের দৃশ্যে অভিনয় করেন কাশমিরা। তার পর কিছু হিন্দি ছবির আইটেম গানেও অভিনয় করতে দেখা গেছে তাঁকে। ‘ইয়েস বস’, ‘পেয়ার তো হোনা হি থা’, ‘হেরা ফেরি’, ‘ফির হেরা ফেরি’, ‘ওয়েক আপ সিড’-এর মতো হিন্দি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।
২০০২ সালে অনলাইন ডেটিং সাইটের মাধ্যমে হলিউডের প্রযোজক ব্র্যাড লিস্টারম্যানের সঙ্গে আলাপ হয় কাশমিরার। সেই আলাপ গড়িয়ে প্রেমে পরিণত হয়। পরে মুখোমুখি দেখা হলে লাস ভেগাসে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। ওই বছরই বিয়ে করেন তাঁরা।
কাশমিরা এবং ব্র্যাড বিয়ে করার পর তাঁদের প্রেমকাহিনির ওপর ব্র্যাড ‘মাই বলিউড ব্রাইড’ নামের একটি ইংরেজি ছবি বানান। ওই ছবির মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কাশমিরা। ২০০৭ সালে ছবিটি মুক্তি পায়। কিন্তু এই ছবি ঘিরেই দম্পতির মধ্যে অশান্তি শুরু হয়।
বিয়ের পাঁচ বছরের মধ্যে কাশমিরা এবং ব্র্যাডের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। অভিনেত্রীও আমেরিকা ছেড়ে মুম্বাইয়ে চলে যান। আবার বড় পর্দায় অভিনয় করা শুরু করেন তিনি।
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে কাশমিরা বলেন, ‘ব্র্যাড সব সময় বাড়িতে ওর কাজ নিয়ে আসত। তার ছবির একেকটি দৃশ্যের বারবার টেক নিত। আসল স্ত্রীকে ছেড়ে ও ‘বলিউড ব্রাইড’কে নিয়েই বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।