জুমবাংলা ডেস্ক: সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের দুই নারীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন এক ওমান প্রবাসী। গত ৬ জুন ২০২৩ ইং ওমান প্রবাসী তাজুল ইসলাম নিজ স্ত্রীসহ তার স্ত্রীর ভাবির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে মামলা দায়ের করেন (মামলার নং ৭৩/২৩)। মামলায় অভিযোক্ত দুই নারী হলেন লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের নোয়াই দক্ষিণ ভাগ কান্দিপাড়া (টিলাবাড়ি’র) হামিদা বেগম ও সাহিদা বেগম।
মামলার অভিযোক্ত সূত্রে জানা যায়, মোগলাবাজার থানার হরগৌরী গ্রামের ওমান প্রবাসী তাজুল ইসলাম ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং মুসলিম শরীহা মোতাবেক বিবাহ বন্ধনের আবদ্ধ হন নোয়াই গ্রামের মৌলভী আহমদ আলীর মেয়ে হামিদা বেগমের সাথে। বিয়ের পর থেকে হামিদা বেগম পড়ালেখার অযুহাত দেখিয়ে পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছেন বড় ভাইর স্ত্রী সাহিদা বেগমের সাথে। সেই অবস্থায় ওমান প্রবাসী তাজুল ইসলাম স্ত্রী পড়ার লেখার জন্য এইচ.এস.সি ও সীমান্তিক কলেজে নার্সিং ডিপ্লোমা সনদ অর্জন বাবদ প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন। তাছাড়া ৩টি দামী মোবাইল ফোন যার বাজার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা প্রদান করেন তার স্ত্রীকে। তাছাড়া লন্ডনে কেয়ার ভিসা করার কথা বলে আরও ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ওমান প্রবাসী তাজুল ইসলাম আরও অভিযোগ করেন, তিনি প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী হামিদা বেগমের বড় ভাই স্ত্রী সাহিদা বেগম তার নিকট থেকে ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ শর্তে ঋণ নিলে সে টাকা ও আত্মসাত করেন উভয়ে। তাজুল ইসলাম প্রবাসে থাকা অবস্থায় লোক মুখে জানতে পারেন তার স্ত্রী দেশে বেপরোয়া চলা ফেরা করছে, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তিনি ১৭ মার্চ ২০২৩ ইং দেশে আসনে। দেশে আসার পর তাজুল ইসলাম স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে আনতে গেলে হামিদা বেগম স্বামী হিসেবে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে তাজুল ইসলাম খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার স্ত্রী ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তার ঘরে স্ত্রী থাকা অবস্থায় ওসমানী নগরের হবিবুর রহমান নামের একজন কে বিবাহ করেছেন এবং তার অজান্তে সিলেট শহরে বাসা বাড়া নিয়ে তার সাথে ঘর সংসারও করেছেন।
সে সময় তাজুল ইসলামের কাছ থেকে পড়া লেখার খরচ দেখিয়ে বাসা ভাড়াসহ বিবিধ খরচ স্ত্রী হামিদা বেগম দাবী করলে প্রতি মাসে তাজুল ইসলাম তা প্রদান করতেন। স্ত্রীর অতিরিক্ত চলচাতুরী দেখে দ্বিতীয় স্বামী হাবিবুর রহমানের সন্দেহ দেখা দিলে উভয়ের মধ্যে মনমালিন্য দেখা দেয় এক পর্যায়ে হামিদা বেগমকে ১২ জুন ২০২২ ইং তারিখে হাবিবুর রহমানও তালাক প্রদান করেন। হাবিবুর রহমানকে তালাক দেওয়ার পর প্রথম স্বামী তাজুল ইসলামের কাছ থেকে লন্ডনের ভিসা খরচ বাবদ প্রায় ৫ লক্ষ টাকা নেন এবং অন্য একটি ছেলেকে বিয়ে করেছেন বলে জানতে পারেন। এমন সব অভিযোগ এনে স্ত্রী হামিদা বেগম ও স্ত্রীর বড় ভাই’র স্ত্রী সাহিদা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে বিচার চেয়ে প্রতারণার মামলা করেন ওমান প্রবাসী তাজুল ইসলাম।
ভারতে স্বামী-সন্তান রেখে সিরাজগঞ্জের যুবককে বিয়ে করেন নার্গিসা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।