আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বর্তমান সময়ে প্রেমের বিষয়ে ধরা বাধা খুব কম দেখা যায়। ছবিতেও যা হয় না, ঠিক সেটিই করে দেখিয়েছেন চীনের তিন তরুণী। ‘মিথ্যা প্রেম ও প্রতারণা’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন একসঙ্গে মিলে।
বুধবার হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই তিন নারী একত্রে সাংহাইয়ের ইয়াংপু বিভাগের পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ দেন, শিউই নামের এক ব্যক্তি তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন। কিন্তু সেই অর্থ আর তিনি ফেরত দিচ্ছেন না। এ ছাড়া প্রেমের নামে তিনি প্রতারণা করেছেন।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ‘প্রেমিক’ শিউইকে আটক করে পুলিশ। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইতোমধ্যে তাকে আড়াই বছরের সাজাও দেওয়া হয়েছে।
শিউই যে তিন তরুণীর সঙ্গে প্রেম করতেন তাদের একজন হলেন চেং হং। এ তরুণী জানান, শিউইয়ের ওপর তার সন্দেহ শুরু হয়। এর পর মদ খেয়ে যখন শিউই ঘুমাতেন, তখন তিনি তার মোবাইল ফোন দেখতেন। তখন তিনি দেখতে পান, শিউইকে একাধিক মেসেজ পাঠিয়েছেন অপর এক নারী; যার মধ্যে একটি মেসেজ ছিল— কেন সে তার ফোন ধরছে না।
চেং হং তখন শিয়াও ফ্যান নামে এক নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমর্থ হন। তখন তিনি জানতে পারেন শিয়াও নামের ওই নারীর সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক আছে শিউইয়ের এবং তাদের দুজনকেই বিয়ে করার প্রতিশ্রতি দিয়েছেন এই কথিত প্রেমিক।
এখানেই সব শেষ হয়নি। চেং গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঝাও লি নামে তৃতীয় এক তরুণীর কাছ থেকে ফোন পান। ওই তরুণী জানান, শিউই তার সঙ্গেও প্রেম করছে।
এসব জানার পর চেং যখন শিউইকে চাপ দেন এবং তার দেওয়া অর্থ ফেরত চান তখন সেগুলো ফেরত দেবে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এর পরই ওই তিন তরুণী মিলে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। আরেকটি অবাক করা বিষয় হলো— যখন শিউই পুলিশের হাতে ছিলেন, তখন তার প্রতারণার শিকার হওয়া তিন তরুণীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক তৈরি হয় এবং তারা একসঙ্গে ঘুরতেও যান!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।