বিনোদন ডেস্ক : অর্পিতার বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সেই ফ্ল্যাটেরই প্রায় ১১ হাজার টাকা ‘মেন্টেনেন্স ফি’ বাকি। এই নিয়ে নেটপাড়ায় শুরু হয়েছে কটাক্ষ। অরুণ বোথরা নামক ওড়িশার এক পুলিশ আধিকারিক অর্পিতাকে কটাক্ষ করে টুইট করে লেখেন, ফ্ল্যাটের ১১ হাজার ৮১৯ টাকা মেন্টেনেন্স বকেয়া। আর সেই ফ্ল্যাটের ভেতরেই পড়ে কোটি কোটি টাকা। তবে এক পয়সাতেও হাত দেননি অর্পিতা।
টুইট বার্তায় অরুণ লেখেন, ‘আপনি যাই বলুন না কেন, অর্পিতাজি বিশ্বস্ততার উদাহরণ স্থাপন করেছেন। সোসাইটিতে নিজের ১১,৮০৯ টাকা বাকি ছিল। দরজায় একটি নোটিশ টাঙানো হয়েছিল। কিন্তু অন্যের টাকা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ভাবে হেফাজতে রাখেছিলেন।’ উল্লেখ্য, অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়। অর্পিতার নামে থাকা সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করা হয়েছে। তাতেও রয়েছে আট কোটি টাকা। তবে অর্পিতার দাবি, এত টাকার কিছুই তিনি জানতেন না।
এর আগে ২১ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলা বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইডি কর্তারা। পাশাপাশি ১৫টি জায়গায় একযোগে চলে তল্লাশি। তল্লাশি চলে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে। উদ্ধার হয়েছিল ২১ কোটি ৯০ লাখ নগদ টাকা। প্রায় ৫৪ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রা, সোনার গয়নাও উদ্ধার হয় সেই ফ্ল্যাট থেকে। এরপর থেকেই অর্পিতার একাধিক সম্পত্তিতে হানা দিতে শুরু করে ইডি।
এরপরই ২৭ জুলাই রবিবার বেলঘড়িয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দেন ইডি কর্তারা। এখান থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ছাপিয়ে যায় টালিগঞ্জের অঙ্ককেও। বেলঘড়িয়ার আবাসনে অর্পিতার নামে দুটি ফ্ল্যাট ছিল। তার একটি থেকে কিছুই উদ্ধার করতে পারেননি তদন্তকারীরা। অপর ফ্ল্যাটটি থেকে উদ্ধার হয় ছয় কেজি সোনা, প্রায় ২৮ কোটি টাকা নগদ।
বেডরুমের পাশাপাশি ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ টাকা, সোনার গয়না। ১ কেজি করে তিনটি সোনার বাট, আংটি, একাধিক মোটা হার, ছ’টি মোটা মোটা সোনার বালা, সহ একাধিক সোনার গয়নাও উদ্ধার করা হয়। মোট ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার করা হয় এই ফ্ল্যাট থেকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।